মুন্সিগঞ্জ গজারিয়া উপজেলার একটি মসজিদের ইমাম আত্মহত্যা করেছেন। হাফেজ মাওলানা আব্দুর রহিম পাটোয়ারী নামের ইমামের বয়স হয়েছিল ৪২ বছর। তিনি করোনাকালে চাকরি হারিয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেন বলে স্বজনদের দাবি।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার চর কিশোরগঞ্জ এলাকায় রোববার রাতে ফাঁসিতে ঝুলতে থাকা অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
এলাকার লোকজন জানান, মাওলানা আব্দুর রহিম পাটোয়ারীর বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার রুপসা গ্রামে। তিনি প্রায় ১৫ বছর ধরে গজারিয়া উপজেলার পুরান বাউশিয়া পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদে ইমামের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে রমজানের কয়েকদিন আগে তাকে চাকুরিচ্যুত করে মসজিদ কমিটি। একটা সময়ে মসজিদটি টিনশেড ঘরের থাকলেও বর্তমানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ একতলা দালান। মসজিদটির আধুনিকায়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন ইমাম।
ইমাম রহিম পাটোয়ারী হাঁপানির রোগী ছিলেন। শবে বরাতের কয়েকদিন আগে তার শ্বাসকষ্ট বাড়লে তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠায় মসজিদ কমিটি। এরপর অন্য ইমামকে নিয়োগ দেয়া হয়। মসজিদে ফিরে আসার জন্য তিনি একাধিক ব্যক্তিকে অনুরোধ করেন। তাতে কাজ হয়নি।
গত কয়েকদিন ধরে তিনি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার চর কিশোরগঞ্জ এলাকায় বসবাস করছিলেন। রোববার রাতে সেখানেই তার মরদেহ পাওয়া যায়।
মসজিদ কমিটির সভাপতি রাজা মোল্লা বলেন, ‘হুজুরের শ্বাসকষ্ট বাড়ায় শবে বরাতের আগে তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। মুসল্লিদের সঙ্গে কথা বলে নতুন ইমাম ঠিক করা হয়। তার যাবতীয় পাওনাদি বিকাশের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল। তিনি কেন আত্মহত্যা করলেন এ বিষয়ে কিছু জানা নেই।’
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, ফাঁসিতে ঝোলা অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ দাফন করা হয়েছে।