তর্কের জেরে মোংলায় মাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এক ছেলে। নিহতের নাম শৈবালী রায়। তার বয়স ৬০ বছর। এ ঘটনায় পুলিশ ছেলে ও পুত্রবধূকে আটক করেছে। মঙ্গলবার বিকেল তিনটার দিকে পৌর শহরের বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
প্রতিবেশি ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের বটতলা এলাকার ক্ষীতিশ চন্দ্র রায়ের স্ত্রী শৈবালী রায়। মঙ্গলবার দুপুরে পুত্রবধু সুচিত্রা বিশ্বাসের সঙ্গে তার ঝগড়া হয় গোবরের তৈরি লাকড়ি (জ্বালানী) নিয়ে। এ সময় ছেলে সুব্রত রায় ক্ষিপ্ত হয়ে কোদাল দিয়ে মায়ের মাথায় আঘাত করেন। প্রথম আঘাতে মা শৈবালী মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আবারো আঘাত করেন ছেলে। প্রতিবেশিরা ছুটে এসে অচেতন অবস্থায় শৈবালীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। পথেই তার মৃত্যু হয়।
মোংলা থানার ওসি মো. ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। অভিযুক্ত সুব্রত ও তার স্ত্রী সুচিত্রাকে আটক করা হয়েছে।’
এলাকার লোকজন জানান, মাকে হত্যায় অভিযুক্ত ছেলে সুব্রত রায়ের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। ৪২ বছর বয়সী সুব্রত পেশায় পশু চিকিৎসক। তার পিতা ক্ষীতিশ চন্দ্র রায় হোমিও চিকিৎসক। সুব্রত তিন বিয়ে করেছেন। তৃতীয় স্ত্রীর সঙ্গে তার মায়ের প্রায়ই বিরোধ লেগে থাকতো। শ্বাশুড়ী ও বউয়ের বিরোধ কয়েকবার গড়িয়েছে থানা পুলিশ পর্যন্ত। বদরাগি সুব্রত বরাবরই স্ত্রী সুচিত্রার পক্ষ নেন।