মাহে রমজান ও মাত্রারিক্ত গরমের কারণে দেশজুড়ে চাহিদা বেড়েছে রসালো ফল তরমুজের।
আর জনগণের সেই চাহিদাকে পুঁজি করে তরমুজ ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে চওড়া দামে বিক্রি করছিলেন তরমুজ। মেহেরপুর জেলায় গত দুইদিন ধরে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় ।
তবে গাংনী পৌর মেয়রের এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগে সেই তরমুজের প্রতি কেজিতে দাম কমেছে ২০ থেকে ২৫ টাকা।
এ ব্যাপারে গাংনী পৌর মেয়র আহমেদ আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একে রমজান মাস, তার ওপর আবার প্রচণ্ড গরম পড়েছে। যার ফলে মানুষের পছন্দের ফল হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে তরমুজ। কিন্তু তরমুজ ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে ছিল সাধারণ ক্রেতারা। অনেকে বাধ্য হয়ে কিনেছেন তরমুজ। অনেকে দাম বেশি হওয়ায় কিনতে পারেননি।
‘আমরা পৌর পরিষদের পক্ষ থেকে প্রশাসনের সহযোগিতায় বাজার মনিটরিং করেও তরমুজের দাম কমাতে ব্যর্থ হই। আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের শতকরা বিশ টাকা হারে লাভ করার পরামর্শ দিই। তাতেও তারা বাজারে তরমুজের দাম কমালেন না।
‘তাই আমরা পৌর পরিষদের সদস্যদের নিয়ে মিটিং করে তরমুজ পাইকার ও আড়ৎদারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রথম দিনে ৬ হাজার পিস তরমুজ কিনে এনে খোলা বাজারে নামমাত্র মুনাফায় বিক্রি করতে শুরু করি। তাতে আমরা ব্যাপক সাড়া পাই। প্রথম দিনে প্রায় ২ হাজার মানুষ তরমুজ কেনে। প্রায় ৪ হাজার পিস তরমুজ বিক্রি করা হয় পৌর ফলভান্ডার থেকে। আর ক্রেতারা প্রতি কেজি তরমুজে ২০ থেকে ২৫ টাকা কমে কিনতে পেরে খুব খুশি হয়। এরপর থেকে তরমুজ ব্যবসায়ীরা দাম কমানো শুরু করেন। ফলে বাজার এখন অনেকটাই স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।’
তরমুজ কিনতে আসা স্কুলশিক্ষক আব্দুল মালেক বলেন, ‘পৌর মেয়রের এই উদ্যোগ নেয়াকে আমি সাধুবাদ জানাই। তার কারণে আজ আমি একটি বড় তরমুজ কিনতে পারলাম, কেজিতে ২৫ টাকা করে কম পেলাম, তার মানে ছয় কেজি তরমুজে আমি প্রায় ১৫০ টাকা কম পেলাম। সব পণ্যের ক্ষেত্রেই এমন উদ্যোগ নেয়া দরকার।
পৌর পরিষদের সদস্য জাফর আলী বলেন, ‘মেয়র ও আমরা পৌরপরিষদের সদস্যরা বাজারে তরমুজের দাম কমানোর উদ্দেশ্যে যে উদ্যোগ নিয়েছি তা সফল হয়েছে। আগামীতে ব্যবসায়ীদের কোনো সিন্ডিকেট যদি পণ্যের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে তাহলে আমারা এমন উদ্যোগ নিয়ে তাদের ওই উদ্দেশ্যকে সফল হতে দেব না।’