পঞ্চগড়ে অপহরণের নাটক সাজিয়ে স্ত্রীর কাছে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে পুলিশের কাছে ধরা খেয়েছেন হাবিবুর রহমান নামের এক যুবক।
পরিবারের পক্ষ থেকে পঞ্চগড় সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পর সোমবার রাতে টাঙ্গাইলের একটি আবাসিক হোটেল থেকে হাবিবুর রহমানকে উদ্ধার করে পুলিশ। পেশায় তিনি একজন পোল্ট্রি খামারি।
পুলিশ ও পরিবার জানায়, ১২ এপ্রিল দুপুরের পর ব্যক্তিগত কাজের কথা বলে বাসা থেকে বের হন হাবিবুর রহমান। এরপর থেকেই তার ব্যবহার করা মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর ১৬ এপ্রিল হাবিবুর তার স্ত্রী আছিয়া বেগমের কাছে নতুন একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে ফোন করে বলেন, তাকে অপহরণ করা হয়েছে এবং মুক্তিপণ হিসেবে এক লাখ টাকা দিতে হবে।
এ ঘটনায় ১৮ এপ্রিল হাবিবুরের বাবা লেবু মিঞা পঞ্চগড় সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার এবং পুলিশের বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে সদর থানা পুলিশ ২৬ এপ্রিল রাতে টাঙ্গাইল জেলা শহরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে হাবিবুরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
পলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, দেনার জন্য আত্মগোপনে গিয়ে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের নাটক সাজিয়েছিলেন।
হাবিবুরের স্ত্রী আছিয়া বেগম বলেন, আমি একজন গৃহিনী। আমার হাতে এত টাকা নেই। পোল্ট্রি ব্যাবসায় লোকসানের কারণে তার অনেক ধারদেনা হয়েছে। কিন্তু এই দেনার কারণে তিনি এমন করতে পারেন, আমি স্বপ্নেও ভাবিনি।
সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু আককাছ আহমেদ বলেন, হাবিবুর আত্মগোপনে গিয়ে স্ত্রীর কাছ থেকে অর্থ আদায়ের জন্য অপহরণের নাটক সাজান। সাধারণ ডায়েরির পর আমরা তদন্ত করি। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি দেনার জন্য অপহরণ এবং মুক্তিপণের নাটক সাজানোর কথা জানান। টাঙ্গাইলের একটি আবাসিক হোটেল থেকে উদ্ধার করে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।