বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বীর মুক্তিযোদ্ধার ওপর হামলা, একজন কারাগারে

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৭ এপ্রিল, ২০২১ ১৮:৫৭

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মুজিবর রহমান বলেন, আমার ছেলের দোকান ভাঙচুর কেন করেছে একথা শুনতে শাহিনের বাড়িতে গেলে শাহিন ও তার লোকজন আমাকে বেদম মারধর করে। আমাকে মারধরের সংবাদ পেয়ে আমার ছেলে, পুত্রবধূসহ পরিবারের সদস্যরা শাহিনের বাড়িতে গেলে তাদেরও মারধর করা হয়।

ফরিদপুরের মধুখালীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বীর মুক্তিযোদ্ধার ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে ওই মুক্তিযোদ্ধা মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

হামলার ঘটনায় সোমবার রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবর রহমান মোল্যা। রাতেই মুক্তিযোদ্ধার ওপর হামলাকারী শাহিন শেখ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে মধুখালী থানাপুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের রাজধরপুর গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবর রহমান মোল্যার শারীরিক প্রতিবন্ধী ছেলে খোকন মোল্যা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। ওই গ্রামেই খোকনের একটি মুদি দোকান রয়েছে।

খোকনের দোকান থেকে স্থানীয় শাহিন শেখ প্রায়ই বাকিতে পণ্য নিতেন। এভাবে শাহিনের কাছে বেশ কিছু টাকা পাওনা হয়ে যায় খোকনের। সোমবার বিকেলে শাহিনের কাছে পাওনা টাকা চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে দোকানের মালামাল ভাঙচুর করেন। খোকন শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় ওই সময় কোনো প্রতিবাদ করেননি।

দোকান ভাঙচুরের কথা শুনে শাহিনের বাড়িতে গিয়ে তাকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করেন খোকনের বাবা। এতে শাহিন আরও উত্তেজিত হয়ে মুজিবর রহমানকে মারধর করেন। এ খবর পেয়ে মুজিবর রহমানের বাড়ির লোকজন তাকে বাঁচাতে এলে তারাও শাহিন ও তার লোকজনের মারধরের শিকার হন।

রাতেই গুরুতর আহত অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধা মুজিবর রহমান মোল্যাকে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মুজিবর রহমান বলেন, আমার ছেলের দোকান ভাঙচুর কেন করেছে এ কথা জানতে শাহিনের বাড়িতে গেলে শাহিন ও তার লোকজন আমাকে বেদম মারধর করে। আমাকে মারধরের সংবাদ পেয়ে আমার ছেলে, পুত্রবধূসহ পরিবারের সদস্যরা শাহিনের বাড়িতে গেলে তাদেরও মারধর করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আমার পুত্রবধুর গলায় থাকা সোনার চেইন ছিঁড়ে নেয় শাহীন। তা ছাড়া পুত্রবধুকে শ্লীলতাহানিও করে। এ ঘটনায় রাতে থানায় অভিযোগ করেছি।

আড়পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন মোল্যা বলেন, শাহিন বিকাশ প্রতারণা চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য। মোবাইলের মাধ্যমে বিকাশের অফিসার সেজে মানুষের কাছ থেকে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেয়াই শাহিনের কাজ। শাহিনের সঙ্গে আরও ২০জন যুবক রয়েছে।

মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযোদ্ধার ওপর হামলার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। সোমবার রাতেই অভিযুক্ত শাহিনকে আটক করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।

এ বিভাগের আরো খবর