নেত্রকোণায় মদনে হাওরে ট্রলার ডুবে ১৮ জনের প্রাণহানির ঘটনার আট মাস পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে ট্রলারটির মালিক ও দুই চালককে।
উপজেলার উচিতপুর নৌঘাট থেকে তাদের সোমবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তারা হলেন, ট্রলার মালিক মদনের কুলিয়াটি গ্রামের লাহুত মিয়াকে এবং চালক উচিতপুর গ্রামের আল আমিন ওরফে শাহাবাদ ও উলুয়াটি গ্রামের মো. কায়রুল। তারা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি।
উচিতপুর নৌঘাট থেকে পর্যটকবাহী ভাই ভাই ট্রলারটি এই ৪৮ শিক্ষক-শিক্ষার্থী নিয়ে ছেড়ে যায়। ট্রলারটি প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে উপজেলার গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের রাজালীকান্দায় পৌঁছলে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ডুবে যায়। ২০২০ সালের ৫ আগস্ট
উপজেলার গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নে গত বছরের ৫ আগস্ট এই ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। সেদিন ময়মনসিংহ সদর ও গৌরীপুর থেকে হাওরে ঘুরতে যান কয়েকটি মাদ্রাসার ৪৮ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী।
উচিতপুর নৌঘাট থেকে ভাই ভাই ট্রলারে করে তারা হাওরে যান। ট্রলারটি প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের রাজালীকান্দায় পৌঁছালে ডুবে যায়। ঘটনাস্থলেই ১৮ জনের মৃত্যু হয়। অন্যরা সাঁতরে তীরে ওঠেন।
এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
প্রচণ্ড বাতাস ও ঢেউয়ের আঘাতে ট্রলারটি ডুবে যায় বলে সে বছরের ১৯ আগস্ট জেলা প্রশাসক বরাবর প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি। এ নিয়ে ঢাকার বিশেষ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ নৌ আদালতে মামলা হয়। এতে ট্রলার মালিক লাহুত মিয়া ও দুই চালককে আসামি করে নৌ পুলিশ। তাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয় আদালত।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম বলেন, আসামিদের নেত্রকোণা আদালতে আজ (মঙ্গলবার) তোলা হবে।