পটুয়াখালীর বাউফলে যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূকে মারধর করে কান কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।
বাউফল থানায় সোমবার বিকেলে মামলা করেন ওই গৃহবধূ। তার শ্বশুরবাড়ি উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চরদিয়ারা গ্রামে।
মামলায় আসামিরা হলেন তার স্বামী মাহাবুব আলম, শ্বশুর কালু হাওলাদারসহ সাতজন।
মামলায় বলা হয়েছে, ২০১৩ সালে মাহবুব আলমের সঙ্গে ওই নারীর বিয়ে হয়। কয়েক বছর পর তার কাছে যৌতুক চাইতে শুরু করেন মাহবুব। তা না পেয়ে স্ত্রীর বাবার কাছ থেকে ৪৫ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি করিয়ে নেন তিনি। পরে আবার দুই লাখ টাকা চাইতে শুরু করেন। তা দিতে না পারায় স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকেন মাহবুব ও তার পরিবারের লোকজন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২৪ এপ্রিল ওই নারীর বাবা ও বড় ভাই মাহবুবের বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি মিটমাটের জন্য স্থানীয় লোকজনদের নিয়ে সালিশ বৈঠক করেন। বৈঠক চলাকালে মাহবুবের লোকজন ওই নারীর বাবা ও ভাইয়ের ওপর হামলা চালায়। মারধর করা হয় ওই নারীকেও। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার বাম কান কেটে দেয়া হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। আসামিরা এখন পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।