বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুবলীগের বাড়ানো হাতে কৃষকের আনন্দ

  •    
  • ২৬ এপ্রিল, ২০২১ ২২:৪৫

‘একটা কামলা লইতে গেলে ৭০০-৮০০ এই রকম ট্যাকা লাগে। তারপরও ১০০০ হাজার টাকা দিলে কামলা পাওয়া যাচ্ছে না এখন। আমরা কী করবো, আমরা তো অসহায়। এই সময় যুবলীগ তারা দলবল নিয়া আইসা আমাদের ক্ষ্যাত কাইটা দিতাছে। আমরা এ্যাদের সহযোগিতা পাইতাছি। আমরা খুব খুশি আর আনন্দ পাইতাছি।’

ঢাকার সাভারে লকডাউন, কালবৈশাখী ঝড় ও তাপদাহসহ নানা কারণে দিনমজুর সংকটে ধান ঘরে তোলা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। বোরো মৌসুমে এমন বিপদে যখন কৃষকরা দিশেহারা তখন তাদের পাশে কাঁচি হাতে দাঁড়িয়েছে যুবলীগের একঝাঁক নেতাকর্মী।

গত কয়েক দিন ধরেই তারা ধান কেটে ও মাড়াই করে তুলে দিচ্ছেন কৃষকের ঘরে। ফলে দিশেহারা কৃষকদের চোখেমুখে ফুটে উঠেছে উচ্ছ্বাস।

মঙ্গলবার সকাল থেকেই প্রচণ্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নে তাজপুর চকে যুবলীগের প্রায় ১০০ নেতাকর্মীকে ধান কেটে মাড়াই করতে দেখা গেছে।

আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকারের নেতৃত্বে এই কর্মযজ্ঞে স্বতস্ফূর্তভাবে অংশ নেন নেতাকর্মীরা।

কৃষক সামছুল হক পালোয়ান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের তাজপুর এলাকার চকে ঝড়ে পাকা ধান পইড়া গেছে। আমরা ধান কাটতে পারি না। করোনায় ধান কাটার লোক পাই না। আমরা অনেক অসহায় অবস্থায় আছি। কিন্তু যুবলীগের নেতারা আইসা আমাদের বিঘায় বিঘায় ধান কাইটা গোলায় উঠায় দিতাছে শ্রম দিয়া। আল্লাহর কাছে দোয়া করি, আওয়ামী লীগ যারা আছেন তাদের প্রতি সহায় থাকে, যেন রহমতের হাত থাকে সবসময়।’

আরেক কৃষক আয়নাল হোসেন বলেন, ‘আমি চকের তিন বিঘা জমিনে বোরো ধান লাগাইছি। এখন ধান পাইকা গেছে কিন্তু কামলা পাইতাছি না। গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি খোলা, রোদ্র, লকডাউন আবার রোজার কারণে কামলা আসতে চায় না। এই কারণে আমরা কৃষকরা খুব বিপাকে আছে এবং ধান কাটতে পারতেছি না কামলার জন্য।

‘একটা কামলা লইতে গেলে ৭০০-৮০০ এই রকম ট্যাকা লাগে। তারপরও ১০০০ হাজার টাকা দিলে কামলা পাওয়া যাচ্ছে না এখন। আমরা কী করব, আমরাতো অসহায়। এই সময় যুবলীগ তারা দলবল নিয়া আইসা আমাদের ক্ষ্যাত কাইটা দিতাছে। আমরা এ্যাদের সহযোগিতা পাইতাছি। আমরা খুব খুশি আর আনন্দ পাইতাছি।’

ইয়ারপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য আলমগীর মন্ডল বলেন, ‘এখানে কৃষকরা অত্যন্ত কষ্টের মধ্যে আছে। তারা শ্রমিক পাচ্ছে না। অনেক উচ্চ মূল্যে তাদের শ্রমিক আনতে হচ্ছে, যা কৃষকদের পক্ষে সম্ভব নয়।

‘অনেকের পাকা ধান বৈশাখী ঝড়ে ক্ষেতে হেলে পড়ছে। যে ধানগুলা দ্রুত সময়ে কেটে ফেলা উচিত। তাই এমন সময়ে যুবলীগের নেতাকর্মীরা কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাদের ধান কেটে ও মাড়াই করে ঘরে তুলে দিচ্ছেন। এমন মহতি কাজের জন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

আশুলিয়া থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মঈনুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নির্দেশেই আমরা আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগ প্রচণ্ড রোদ উপেক্ষা করে মাঠে আছি। এত কষ্ট করে যারা করোনাকালীন সময়ে ধান ঘরে তুলতে পারছে না তাদের জন্য আমরা মাঠে কাজ করছি। শুধু আজকেই না সারা মাসব্যাপী যারাই অসহায় কৃষক নিজেদের ধান কাটতে পারছেন না আমরা তাদের জন্য কাজ করব।’

আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে প্রত্যেকটি ইউনিটের যুবলীগ এই মহামারির সংকটের মাঝে অসহায় দুস্থঃ কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে। শ্রমিক সংকট দেখা দেয়ায় আমরা যুবলীগ কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিচ্ছি।

‘গতবার করোনা মহামারিতেও আমরা কৃষকের ধান কেটে দিয়েছি। গতবারের চাইতেও যেহেতু এবার করোনা মহামারি একটু ভয়াবহ রূপ বেশি নিয়েছে, এজন্য শ্রমিক সংকটও বেশি হয়েছে। কৃষকরা যথাসময়ে তাদের ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছে না। আর তাই মানবিক দিক বিবেচনায় আমরা আশুলিয়া থানা যুবলীগ কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছি।’

যে পর্যন্ত কৃষকরা তাদের ধান ঘরে তুলতে না পারবে ততদিন যুবলীগ কৃষকদের পাশে আছে বলেও জানান এই নেতা।

এ বিভাগের আরো খবর