বেশি দামে বিক্রি করার অভিযোগে বরিশালে ১৪ তরমুজ বিক্রেতাকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার বিকেলে নগরীর পোর্ট রোড, ফলপট্টি, জেল খানার মোড়, নতুন বাজার, নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড, চৌমাথা বাজার, বাংলা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হাই ও রয়া ত্রিপুরা।
ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হাই আট ব্যবসায়ীকে ৬ হাজার ৪০০ টাকা আর রয়া ত্রিপুরা ছয়জন ব্যবসায়ীকে ৩ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা করেন।
দুই ম্যাজিস্ট্রেট জানান, রোজায় তীব্র গরমে তরমুজের চাহিদা বাড়ার সুযোগ নিয়ে ব্যবসায়ীরা মাত্রাতিরিক্ত দাম চাইছেন। তারা কম দামে পিস হিসেবে তরমুজ কিনে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি করছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি করে।
একটি মোটামুটি আকারের তরমুজও ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়, যা সাধারণ মানুষের জন্য কিনে খাওয়াটা কষ্টসাধ্য।
বরিশাল বিভাগে গত কয়েক বছরে তরমুজ চাষ বেড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাষ হয় বরগুনায়। জেলায় অনুসন্ধান চালিয়ে নিউজবাংলা জেনেছে, লকডাউনে পরিবহন সংকটের কারণে পণ্য পাঠানো যাবে না বলে কৃষকদেরকে ভয় দেখিয়ে কম দামে ক্ষেত কিনেছেন ব্যবসায়ীরা।
রোজার আগেই এভাবে ফসলের মাঠ কৃষকরা ব্যাপারিদের কাছে বিক্রি করে দেয়ার পর পরই দাম বেড়ে যায়। আর রোজার শুরুতে যত দাম ছিল এখন তার চেয়েও দ্বিগুণ হয়েছে।
অর্থাৎ রোজায় দাম বৃদ্ধির কোনো সুফলই পায়নি তরমুজ চাষিরা। রোজার প্রথমে বাজার দর হিসাব করে দেখা গেছে কেবল বরগুনাতেই চাষিরা ঠকেছে ১৩৭ কোটি টাকার মতো।