বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‌বঙ্গবন্ধুর শস্যচিত্রের ধান কাটা শুরু

  •    
  • ২৬ এপ্রিল, ২০২১ ২১:৩১

১০০ বিঘা জমির এই ধান কাটার পরে সেগুলো প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে দেয়া হবে। আর কিছু অংশ পাবেন স্থানীয় কৃষক এবং প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকরা।

বগুড়ার শেরপুরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি আঁকা বিশ্বের সবচেয়ে বড় শস্যচিত্রের ধান কাটা শুরু হয়েছে।

বৃহৎ শস্যচিত্র হিসেবে গিনেস বুক অফ রেকর্ডসে স্থান করে নেয়া উপজেলার বালেন্দা গ্রামের এ জমির ধান কাটা সোমবার উদ্বোধন করা হয়।

১০০ বিঘা জমির এই ধান কাটার পরে সেগুলো প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে দেয়া হবে। আর কিছু অংশ পাবেন স্থানীয় কৃষক এবং প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকরা।

সোমবার ধান কাটা উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’-র জাতীয় পরিষদের আহ্বায়ক আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদের সদস্য সচিব কৃষিবিদ কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান, কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ্র, সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুসহ অনেকে।

শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর এ প্রতিকৃতির আয়তন ১২ লাখ ৯২ হাজার বর্গফুট। দৈর্ঘ্য ৪০০ মিটার এবং প্রস্থ ৩০০ মিটার।

এর আগে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শস্যচিত্রের রেকর্ডটি ছিল চীনের দখলে। ২০১৯ সালে ৮ লাখ ৫৫ হাজার ৭৮৬ বর্গফুট জমিতে শস্যচিত্র তৈরি করে দেশটি। সেই রেকর্ড সরিয়ে ১৬ মার্চ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে ঠাঁই পায় বঙ্গবন্ধুর মুখচ্ছবির শস্যচিত্রটি।

গত ২৯ জানুয়ারি এই প্রকল্পের চারা রোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।

জাতীয় পরিষদের সদস্যসচিব কৃষিবিদ কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ‘গত বছরের মার্চ মাস থেকে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু কর্মসূচির কাজ শুরু করা হয়। বেগুনি ও সবুজ রঙের ধানগাছে ফুটিয়ে তোলা হয় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি। চায়না থেকে বেগুনি রঙের ধানের জাত (এফ-১) আমদানি করা হয়।’আয়োজকরা জানান, ১ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিদিন ১২০ থেকে ১৩০ জন নারী শ্রমিক কাজ করেছেন। তাদের সাথে প্রতিদিন যুক্ত ছিলেন ১৫ থেকে ২০ জন পুরুষ শ্রমিক। তাদের সমন্বয়ে এই কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।

তারা আরও জানান, এর আগে ১৩ রেজিমেন্টের বিএনসিসির ১০০ সদস্য শুকনো জমিতে প্রতিকৃতি নির্মাণ করেন। আরেকটি দল কাদা জমিতে লে-আউট তৈরি করেন। তাদের মধ্যে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্য ছাড়াও বগুড়ার আজিজুল হক সরকারি কলেজ ও সরকারি শাহ সুলতান কলেজের অনেক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।

পরে নকশার দায়িত্ব পায় এক্সপ্রেশন লিমিটেড নামে ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান। এই ১০০ বিঘা জমি স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি বিঘা জমি ৯ হাজার টাকায় সাত মাসের (নভেম্বর থেকে মে) জন্য ইজারা নেয়া হয়।

এ বিভাগের আরো খবর