সাতক্ষীরার শ্যামনগরে পানির কষ্টে থাকা মানুষদের মাঝে ব্যক্তি উদ্যোগে খাবার পানি বিতরণ করা হয়েছে।
দুই শতাধিক পরিবারকে দেয়া হয়েছে এক কলস করে পানি।
সুপার সাইক্লোন আম্পানে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ নিরাপদ খাবার পানির দাবিতে সম্প্রতি মানববন্ধন, মিছিল ও সমাবেশ করেন।
গণমাধ্যমে এই সংবাদ উঠে এলে পানি বিতরণের সিদ্ধান্ত নেন ব্যাংকার বুলবুল আহমেদ।
পানি পেয়ে খুশি জয়াখালী মহাজেরিন স্কুল এলাকার ও পশ্চিম কৈখালী গ্রামের বাসিন্দরা। তাদেরই একজন রহিমা বেগম। তিনি বলেন, ‘আজ কদিন পানির জন্যি ছটফট করতিছি। একফুটা (একফোটা) পানি মিলুতি (মেলাতে) পারিনি। পকুরির (পুকুরের) পানি জ্বাল দে খাইছি। সারা গ্রামের মধ্যি কোথাও এট্টু খাবার পানি নি (নেই)। আজগির এক কলসি পানি পাইছি, সগ্গুলি (সেগুলো) শান্তিতে খাতি (খেতে) পারবানি (পারবো)।'
আবু কাওছার নামে আরেকজন বলেন, ‘একোন পযুন্ত মেম্বর-চিয়ারম্যান কেউ আসিনি। সরকারের কেউ খোঁজও নিইনি। আঙগার (আমাদের) যারা পানি দিতিছ, পরকালে আল্লাহ তাগারও (তাদেরও) পানি দ্যাবে।’
শ্যামনগরের কৈখালি, রমজাননগর, ঈশ্বরীপুর, বুড়িগোয়ালিনী, গাবুরা, পদ্মপুকুরসহ গোটা উপকূলে বিরাজ করছে পানি সংকট। স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা লিডার্সের পক্ষ থেকে সুপেয় পানি সংকট নিরসনে কাজ করা হচ্ছে।
সংস্থাটি নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার বিশ্বাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘খরতায় (তাপের কারণে) খাল-বিল-পুকুর শুকিয়ে গেছে। নলকূপেও ঠিকমত উঠছে না পানি। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পানির জন্য এসব এলাকায় হাহাকার অবস্থা।’
সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দার বলেন, বুড়িগোয়ালিনী এলাকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে সেখানে একটি পানির প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে। আরও ৬টি পানির প্লান্ট স্থাপনের জন্য ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে।