বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভিজিডির কার্ডে অনিয়ম, ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ

  •    
  • ২৬ এপ্রিল, ২০২১ ১৫:২৫

‘৪ নম্বর ওয়ার্ডের রসুলপুর গ্রামে ৪০ থেকে ৫০টি নৃগোষ্ঠী পরিবার রয়েছে। ওই পরিবারের নারীরা কার্ডের জন্য আবেদনও করে। কিন্তু তাদের নাম তালিকায় ওঠেনি। কারও আবেদন বাতিল হলে, নিয়ম অনুযায়ী তাকে বাতিলের কারণ জানানোর কথা। সেটিও ওই আবেদনকারীদের জানানো হয়নি।’

দিনাজপুরের কাহারোলে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারের দুস্থ মহিলা উন্নয়ন কর্মসূচি-ভিজিডির কার্ড বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন ইউপির এক সদস্য। লিখিত অভিযোগ জমা দেয়া হয়েছে জেলা প্রশাসকের কাছে। তবে ইউপি চেয়ারম্যান অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

কাহারোলের রসুলপুর ইউনিয়নের ঘটনা এটি। ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সারদা কান্ত রায় ইউপি চেয়ারম্যান সঞ্চয় কুমার মিত্রের বিরুদ্ধে ভিজিডি কার্ড বিতরণে অনিয়মের এই অভিযোগ তুলেছেন।

জেলা প্রশাসকের কাছে দেয়া লিখিত অভিযোগে সারদা বলেছেন, চলতি অর্থবছরে রসুলপুর ইউনিয়নের ৯ ওয়ার্ডের জন্য ভিজিডির ৩৮০টি কার্ড বরাদ্দ দেয়া হয়। সেগুলো বিতরণের জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে তালিকা করে উপকারভোগী বাছাই করার কথা। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রসুলপুর গ্রামে ৪০ থেকে ৫০টি নৃগোষ্ঠী পরিবার রয়েছে। ওই পরিবারের নারীরা কার্ডের জন্য আবেদনও করে। কিন্তু তাদের নাম তালিকায় ওঠেনি। কারও আবেদন বাতিল হলে, নিয়ম অনুযায়ী তাকে বাতিলের কারণ জানানোর কথা। সেটিও ওই আবেদনকারীদের জানানো হয়নি।

সারদা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নীতিমালা অনুযায়ী, আবেদন যাচাইবাছাইয়ের জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে কমিটি থাকে। কমিটিতে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য, সহকারী শিক্ষক, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও বেসরকারি সংস্থার একজন প্রতিনিধি রাখা হয়। কিন্তু ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এর মধ্যে কাউকে রাখা হয়নি। কারা যাচাইবাছাই কমিটিতে আছে তা পরিষ্কার নয়। আমাদের কিছুই জানানো হয়নি। তালিকা চূড়ান্ত করার পর ইউনিয়ন পরিষদের সব সদস্যকে অবগত করে স্বাক্ষর নেয়া হয়। এই ওয়ার্ডের চূড়ান্ত তালিকায় আমি কোথাও স্বাক্ষর দিইনি।’

সারদা আরও অভিযোগ করেন, ‘অন্যান্য ওয়ার্ডে ৫০ থেকে ৫৫টি কার্ড বরাদ্দ দেয়া হলেও আমার ওয়ার্ডে দেয়া হয়েছে মাত্র ৩৩টি। অন্যান্য ওয়ার্ডে কার্ড বিতরণের বিনিময়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চেয়ারম্যান টাকা নিয়েছে।’ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে রসুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান সঞ্চয় কুমার মিত্র নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সবার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ও সব বিধিবিধান মেনেই ভিজিডির তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। আমি একাই এই তালিকা করিনি। সংশ্লিষ্ট সদস্যদের সমন্বয়ে চূড়ান্ত তালিকা করা হয়েছে। তাতে সারদার স্বাক্ষরও ছিল। এই ইউনিয়নে কার্ড বিতরণে কোনো ধরনের অনিয়ম হয়নি। এখানে যে কজনের নাম তালিকায় আছে, তাদেরই কার্ড দেয়া হয়েছে।’

অভিযোগের বিষয়ে জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকি জানান, এখন করোনায় লকডাউনের কারণে অফিসের কার্যক্রমে কিছুটা ধীরগতি এসেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর