জয়পুরহাট সদর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে মাকে হত্যার অভিযোগে ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পশ্চিম কোমরগ্রামে রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার ভোররাতে শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় সুফিয়া খাতুনের।
প্রতিবেশীরা জানান, সুফিয়া খাতুনের মেয়ে জর্ডানে ছিলেন। তিনি একমাস আগে দেশে ফেরেন। এরপর তার ভাই উজ্জল হোসেন বোনের কাছে টাকা ধার চায়। কিন্তু বোন টাকা দিতে না চাইলে এ নিয়ে মা ও বোনের সঙ্গে উজ্জলের কয়দিন ধরে ঝগড়া চলছিল।
সুফিয়ার স্বামী তছলিম উদ্দিন নিউজবাংলাকে জানান, রোববার রাতে তার উজ্জলের স্ত্রী মেনোকাকে চুলা থেকে ছাই সরাতে বলেন সুফিয়া। এ নিয়ে বউ-শাশুড়ির মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে উজ্জল স্ত্রীর পক্ষ নিয়ে মায়ের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করেন।
গুরুতর আহত সুফিয়াকে প্রথমে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে শজিমেকে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আলমগীর জাহান জানান, সোমবার সকালে কালাই উপজেলার মাত্রাই থেকে পলাতক উজ্জলকে আটক করে পুলিশ।
এরপর বেলা ১২টার দিকে সুফিয়ার ভাই উজ্জলের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেন। তাকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।