বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভারতফেরতসহ ১০ করোনা রোগী হাসপাতাল থেকে লাপাত্তা

  •    
  • ২৬ এপ্রিল, ২০২১ ১৩:০১

কোতোয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করোনার রোগী পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আমাদের কিছু জানায়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’

যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে লাপাত্তা হয়েছেন ভারতফেরত ৭ জনসহ ১০ করোনা রোগী।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নার্স তারকচন্দ্র বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, শনিবার সকাল থেকে রোববার দুপুরের মধ্যে কোনো একসময় তারা পালিয়েছেন।

এতে করে সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাসের ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট দেশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

অবশ্য হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মাত্র দুজন রোগী পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। আর সিভিল সার্জন বলছেন, হাসপাতালে দেয়া নাম-ঠিকানা ঠিক থাকলে তাদের খুঁজে বের করা সম্ভব।

এই ঘটনায় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক পুলিশের ওপর দায় চাপালেও পুলিশ বলছে, তারা এখনও কোনো অভিযোগ পাননি।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নার্স তারকচন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘শনি ও রোববার ভারতফেরতসহ ১০ জনের করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ এলে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের সবাইকে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় করোনা ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল।’

হাসপাতালের ভর্তি রেজিস্টার সূত্রে জানা গেছে পলাতক ব্যক্তিরা হলেন যশোর শহরের বিমান অফিস মোড়ের ফাতেমা বেগম, খালধার রোডের মালা দত্ত, সদর উপজেলার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের ফাতেমা বেগম, একই গ্রামের রোমা, প্রতাপকাঠি গ্রামের মমিন, রামকান্তপুর গ্রামের নাসিমা বেগম, বাঘারপাড়া উপজেলার রায়পুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম, ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জের শেফালি রানি, খুলনার পাইকগাছা উপজেলার রামরাইল গ্রামের আমিরুল সানা ও একই জেলার রূপসা এলাকার সোহেল।

করোনা ওয়ার্ডে দায়িত্বে থাকা সিনিয়র নার্স লাবনী বিশ্বাস বলেন, ‘ভারত থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আসা ৭ জনসহ ১০ জন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। কিন্তু আজ সকালের পর থেকে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক দিলীপকুমার রায় বলেন, ‘আমার জানামতে, হাসপাতাল থেকে দুইজন রোগী পালিয়েছেন। ভারত থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোনো রোগী হাসপাতালে আনা হলে তাদের পুলিশের তত্ত্বাবধায়নে হাসপাতালে রাখা হয়। একই সঙ্গে তাদের পাসপোর্ট পুলিশের কাছে জমা থাকে। কিন্তু তার কোনোটাই করেনি।’

জেলা সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বলেন, ‘রোগী পালানোর কথা শুনে রোববার সকালে আমি সেখানে গিয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের সঙ্গে কথা বলেছি। যে ১০ জন রোগী পালিয়েছে, তাদের নাম-ঠিকানা সঠিক থাকলে তাদের খুঁজে বের করা সম্ভব। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।'

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করোনার রোগী পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আমাদের কিছু জানায়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর