বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রথম দিনে মার্কেটে ভিড়, উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি

  •    
  • ২৬ এপ্রিল, ২০২১ ০০:৩৮

মানিকগঞ্জে প্রথম দিনে সকাল ১০টার পর থেকেই খুলতে শুরু করে দোকানপাট ও শপিংমলগুলো। শুরুতে উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতা বাড়তে থাকে। দুপুরের পর দেখা যায় উপচে পড়া ভিড়।

‘ছোট বাচ্চার ক্রিম শেষ হয়ে গেছে। তাই কেনার জন্য শহরে আসছি। এলাকায় যেগুলো পাওয়া যায় সেগুলো ভালো মনে হয় না। এ জন্য দোকান খোলার সাথে সাথে জিনিসপত্র কেনার জন্য আসছি।’

কথাগুলো বলছিলেন মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বেতিলা গ্রামের গৃহবূধ নাসরিন আক্তার। তিনি মার্কেটে কেনাকাটা করতে এসেছেন মাস্ক ছাড়াই।

স্বাস্থ্যবিধি না মেনে তার মতো শহরে এসেছেন আরও অনেকে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রেও তারা ছিলেন উদাসীন। তাদেরই একজন নয়াকান্দির এলাকায় আমেনা আক্তার।

তিনি বলেন, ‘ঈদ আসতেছে। ছেলে-মেয়েরা কেনাকাটার জন্য বায়না ধরছে। কিন্তু লকডাউনের কারণে আসতে পারি নাই। তাই আজকে কিনতে আসলাম। মার্কেটে এসে দেখি মানুষের অনেক ভিড়। কিন্তু কী আর করা। ঈদের আগে তো আবার দাম বাড়ায় দোকানদাররা। তা ছাড়া রোজার মধ্যে তো বারবার আসাও কষ্ট।’

মার্চের শেষ দিকে এসে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ ঠেকাতে ৫ থেকে ১১ এপ্রিল সাত দিন বিধিনিষেধ আরোপ করে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার।

কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় সংক্রমণ প্রতিরোধে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল কঠোর বিধিনিষেধসহ লকডাউন আরোপ করা হয়। পরে লকডাউন বাড়ানো হয় ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত। আরোপ করা হয় ১৩ দফা বিধিনিষেধ। এর মধ্যেই রোববার থেকে দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত জানায় সরকার।

মানিকগঞ্জে প্রথম দিনে সকাল ১০টার পর থেকেই খুলতে শুরু করে দোকানপাট ও শপিংমলগুলো। শুরুতে উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতা বাড়তে থাকে। দুপুরের পর দেখা যায় উপচে পড়া ভিড়।

ছেলে-মেয়েদের জন্য কেনাকাটা করছিলেন মিতরা গ্রামের আবুল কাশেম। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাড়ির পাশের অনেকেই তাদের বাচ্চাদের জন্য কেনাকাটা করেছেন। তাদের কেনাকাটা দেখে মার্কেট আসার জন্য জেদ বেড়েছে সন্তানদের। তাই বাধ্য হয়ে করোনাভাইরাসের মধ্যেও আসতে হলো।’

বিকিকিনির সময় কেন স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না এমন প্রশ্নে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক দোকানি বলেন, ‘কেনাকাটা করার জন্য অনেকে আসে। স্বাস্থ্যবিধির কথা বললে অনেকে হয় তো রাগ করতে পারে। বেচাকেনার স্বার্থে অনেক কিছু বলতে পারি না।’

এসব মার্কেট ও দোকানপাটে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে প্রশাসনের তেমন তৎপরতাও দেখা যায়নি। এ বিষয়ে জানতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কেউ ফোন ধরেননি।

এ বিভাগের আরো খবর