বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কেজি দরে তরমুজ কিনে ঠকছেন ক্রেতারা

  •    
  • ২৫ এপ্রিল, ২০২১ ২৩:৪৩

কৃষি বিপণন আইন অনুযায়ী, ফলের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা কেজিতে দশ টাকা লাভ করতে পারবেন। তবে তরমুজের ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশনা আছে। কেজিপ্রতি তিন থেকে পাঁচ টাকার বেশি লাভ করতে পারবেন না। আর পাইকার ব্যবসায়ীরা কেজি বা পিস যেভাবেই কিনবেন সেভাবেই তাদেরকে বেচতে হবে।

কুষ্টিয়ার ব্যবসায়ীরা তরমুজ কিনছেন একভাবে আর বিক্রি করছেন অন্যভাবে। তরমুজ কিনে ক্রেতারা ঠকছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

কৃষক পর্যায় থেকে পাইকাররা পিস হিসেবে বা ক্ষেত ধরে কিনে আনা তরমুজ খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করছেন কেজি দরে। যার ফলে দামে ঘটছে বিস্তর ফারাক।

ক্ষুব্ধ ক্রেতারা বলেন, ‘কেজিপ্রতি কিছুটা দাম বাড়িয়ে দিলেই একটি তরমুজের দাম বেড়ে যাচ্ছে অনেক। রমজানের আগে তরমুজ ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে।’

ক্রেতা সাবিনা খাতুন বলেন, ‘কেজিতে পাঁচ টাকা বাড়িয়ে দিলেই ছোট তরমুজে ২৫-৩০ টাকা দাম বেড়ে যাচ্ছে।’

হাসপাতাল মোড়ের সাব্বির হোসেন বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগেও তরমুজ কিনেছি ৪০ টাকা কেজি। এখন কিনলাম ৫০ টাকা। একটি ছোট তরমুজ কিনতেই সাড়ে ৩০০ টাকা লাগল।’

ব্যবসায়ী মো. দিপু বলেন, ‘একসঙ্গে তরমুজ কিনেছি ১৬ কেজি। এতটা নেয়ার পরও কেজিতে ৫০ টাকার নিচে নেয়নি। রমজানের সুযোগ নিয়ে আড়তদাররা মণপ্রতি ২০০ টাকা করে লাভ করে নিচ্ছেন।’

সাংবাদিক তৌহিদ শেখর বলেন, ‘গেল বছর পিস হিসেবে তরমুজ কিনেছি, তাতে দাম অনেক কম পড়তো।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার উপ-পরিচালক শ্যামল কুমার বিশ্বাস জানান, কুষ্টিয়া জেলায় তেমন একটা তরমুজের আবাদ হয় না। এ কারণে চাহিদা পূরণ করতে অন্য জেলা থেকে আনা হয়। সে কারণে তরমুজের দামের ব্যাপারে তাদের কিছু করার নেই।

কুষ্টিয়া পৌর বাজারে রয়েছেন পাঁচজন তরমুজ ব্যবসায়ী। তাদের একজন জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘তরমুজ আগে আনা হতো চট্টগ্রাম থেকে, তখন দাম কম ছিল। এখন খুলনা, সাতক্ষীরা ও চুয়াডাঙ্গা থেকে আনা হচ্ছে। মণপ্রতি ১ হাজার ৪০০ টাকা করে কিনে আনা হয়। পরিবহন, শ্রমিক খরচ মিলিয়ে ১ হাজার ৭শ টাকা পড়ে যায় দাম। এরপর লাভ করেন খুচরা বিক্রেতারা।’

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক কাজী রকিবুল হাসান বলেন, ‘সরকার মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে কয়েকটি কৃষি পণ্যের। সেগুলোর ব্যাপারে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। তবে, তরমুজের ব্যাপারে আমাদের আইন মোতাবেক কিছুই করার নেই। এ ব্যাপারে কৃষি বিপণন আইনে কী আছে সেটা খোঁজ নিতে পারেন।’

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কুষ্টিয়া জেলা বাজার কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘বাজার ঘুরে দেখেছি। নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। আসলে এদের কাগজপত্র ঠিকই দেখলাম। তবে এর মধ্যে আড়ৎদারদের কোনো কারসাজি আছে নিশ্চয়।

`কৃষি বিপণন আইন অনুযায়ী ফলের ক্ষেত্রে কেজিতে ১০ টাকা লাভ করতে পারবেন এমন বিধান রয়েছে। তবে তরমুজের ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশনা আছে। কেজিপ্রতি তিন থেকে পাঁচ টাকার বেশি লাভ করতে পারবেন না। আর কেজি বা পিস যেভাবেই কিনবেন সেভাবেই বেচতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর