বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে নীলফামারী জেলার ছয় থানায় তাদের জন্য সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসব চেয়ারে থানায় আসা বীর মুক্তিযোদ্ধারাই শুধু বসতে পারবেন।
পুলিশ সুপারের নির্দেশে জেলার ছয় থানায় এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা, তাদের সন্তানেরা ও রাজনৈতিক নেতারা।
নীলফামারী থানায় গিয়ে দেখা যায়, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) চেয়ারের ডানদিকে একটি চেয়ার রাখা হয়েছে। যার পেছনের দেয়ালে লেখা রয়েছে, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের সংরক্ষিত আসন।
থানার ওসি আব্দুর রউপ বলেন, ‘আজকে আমি ওসির চেয়ারে; এটি সম্ভব হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কারণে। তারা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে আমাদের প্রিয় দেশ বাংলাদেশ দিয়েছেন।
‘তাদের সম্মান জানাতে ওসির রুমে জায়গা করে দিতে পেরে গর্ব বোধ হচ্ছে। তারা সবসময় শ্রদ্ধার পাত্র।’
তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে একটি চেয়ার দেয়া হলেও একাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধার বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নীলফামারী জেলা কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার কান্তি ভুষণ কুন্ডু বলেন, ‘এই বদান্যতায় আমরা অভিভূত। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় রয়েছেন বলে এটি সম্ভব হয়েছে। থানায় আমাদের যে সম্মান জানানো হয়েছে এতে আমরা গর্বিত।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের নীলফামারী জেলা কমিটির আহ্বায়ক হাফিজুর রশিদ মঞ্জু বলেন, ‘আমরা গর্বিত এই ব্যবস্থা দেখে। আমার বাবাও একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আমার বাবা বেঁচে নেই, কিন্তু থানায় যখন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা আসবেন তখন এই সম্মানে গর্ববোধ করবেন।’
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধারা শ্রদ্ধার পাত্র। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করা হচ্ছে।’
জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান জানান, সেবা নিতে অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা থানায় যান। তাদের জন্য আগে জায়গা সংরক্ষিত ছিল না। এখন জেলার সব থানায় তাদের আলাদা বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের সম্মান দিতে পেরে পুলিশ সদস্য হিসেবে তিনি গর্ববোধ করেন।
শুধু থানায় আলাদা বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে তা নয়, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পুলিশিং সংক্রান্ত যে কোনো কাজ সবার আগে করে দেয়া হয় বলেও জানান এসপি।