বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রুবেল-বরকতসহ ৪৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৫ এপ্রিল, ২০২১ ১৮:৫৬

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহার বাড়ি যমুনা ভবনে গত বছরের ১৬ মে দুই দফা হামলার ঘটনা ঘটে। সুবল চন্দ্র সাহা ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পর ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন।

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার মামলায় শহর আ. লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত, তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ৪৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়েছে।

শনিবার জেলার এক নম্বর আমলি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) শহিদুল ইসলাম।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, জেলা আওয়ামী লীগের ওপর আধিপত্য বিস্তারের জন্য শহর আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ পরিকল্পিতভাবে এ হামলা করে। এ ক্ষেত্রে শহর আওয়ামী লীগের ইফতার পার্টিতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির যোগ না দেওয়ার বিষয়টি অজুহাত হিসেবে দাঁড় করানো হয়েছিল মাত্র।

অভিযোগপত্রভুক্ত ৪৯ আসামির মধ্যে বরকত ও রুবেলসহ ২৫ জন গ্রেপ্তার আছেন। এ ছাড়া সাবেক কাউন্সিলর তৃষা সাহাসহ ২৪ জন পলাতক। গ্রেপ্তার হওয়া বরকত ও রুবেলসহ ২১ আসামি আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

অভিযোগপত্র জমা দেয়ার খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) শহিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, শনিবার ফরিদপুর এক নম্বর আমলি আদালতে অভিযোগপত্রটি জমা দেওয়া হয়েছে। এরপর গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরু হবে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২০ সালের ১৬ মে রাতে শহরের গোয়ালচামট এলাকার মোল্লা বাড়িতে অবস্থিত আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহার বাড়ি যমুনা ভবনে দুই দফা হামলার ঘটনা ঘটে।

সুবল চন্দ্র সাহা ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পর ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা করেন। এই মামলা পাল্টে দেয় ফরিদপুরে আওয়ামী রাজনৈতিক দৃশ্যপট।

এর আগে অর্থ পাচার মামলায় ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের বহিস্কৃত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের পাঁচ হাজার ৭০৬ বিঘা জমি ক্রোকের আদেশ দেয় আদালত।

একই সঙ্গে আদালত ওই দুই ভাইসহ এ ঘটনায় জড়িত মোট পাঁচ জনের ৮৮টি ব্যাংক হিসাবে থাকা প্রায় ১০ কোটি টাকা জব্দ করার আদেশ দেয়। এ ছাড়া ওই দুই ভাইয়ের মালিকানাধীন ৫৫টি বাস, ট্রাক ও ব্যাক্তিগত গাড়ি ক্রোক করারও আদেশ দেয়া হয়।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উত্তম বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ গত বছরের ২৬ জুন ঢাকার কাফরুল থানায় অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় ওই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদ অবৈধ উপায়ে উপার্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

গত বছরের ৭ জুন রাতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ওই মামলার আসামি হিসেবে শহরের বদরপুরের আফসানা মঞ্জিলসহ শহরের বিভিন্ন মহল্লায় অভিযান চালিয়ে বরকত ও রুবেলসহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করে।

পরবর্তীতে এ মামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয় ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার নাজমুল ইসলাম লেভী, জেলা শ্রমিক লীগের কোষাধ্যক্ষ বিল্লাল হোসেন, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নিশান মাহমুদ শামীমসহ ২৫ ব্যাক্তিকে।

এ বিভাগের আরো খবর