নেত্রকোণার মদনে কিশোরীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে তার দাদার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সহযোগিতার অভিযোগে দাদিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার একটি গ্রাম থেকে শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযুক্ত ওই দাদার বাড়ি মদন উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে।
কিশোরীর পরিবার ও পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরী গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর তার দুরসম্পর্কের দাদার ঘরে পান আনতে যায়। ওই সময় ওই দাদা তাকে ধর্ষণ করেন।
পরে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তাকে আরও কয়েকবার ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন তিনি। কিশোরীটি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কারণে শারীরিক পরিবর্তন দেখা দিলে বিষয়টি পরিবারের নজরে আসে।
এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে কিশোরীর মা বাদী হয়ে ওই দাদা ও তার স্ত্রীকে আসামি করে মদন থানায় মামলা করেন।
কিশোরীর মা বলেন, ‘ধর্ষণের ফলে আমার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। কত মাসের অন্তঃসত্ত্বা তা আমরা এখনও জানি না। আমি এ ঘটনার ন্যায়বিচার চাই।’
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম জানান, ধর্ষণের কারণে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় তার মা বাদী হয়ে দুজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। কিশোরীটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শুক্রবার নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে মামলার পর আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে তথ্যপ্রযুক্তি ও অন্যান্য সোর্স ব্যবহার করে ওই দাদিকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রোববার তাকে নেত্রকোণা আদালতে তোলা হয়।
ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত দাদাকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলেও জানান ওসি।