বাবা-মায়ের অভিযোগ, তাদের মারধর করেন ছেলে। একাধিকবার সালিশ করার পরও ছেলের মারধর, হুমকিধমকি চলতেই থাকে।
আর না পেরে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন বাবা-মা। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। আটক করে ছেলেকে তোলা হয় আদালতে। পরে বিচারক তাকে পাঠান কারাগারে।
ঘটনাটি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামে।
থানায় দেয়া অভিযোগে বাবা আব্দুল জলিল জানান, ছেলে নাসিরউদ্দীন তাকে ও তার স্ত্রী রোজিনা বেগমকে মারধর করেন। এ নিয়ে শিত্তরদাহ পুলিশ ফাঁড়িতে কয়েকবার সালিশ হয়েছে। সেখানে প্রশাসনের কাছে নাসিরউদ্দীন মুচলেকা দিয়ে আসেন, কিন্তু বাড়ি ফিরে আবারও একই কাজ করেন।
গত বৃহস্পতিবার সকালে বাড়িতে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাসিরউদ্দীন তার বাবা-মা ও বোন পারভীন আক্তারকে দা নিয়ে কোপাতে আসেন।
দৌড়ে পালিয়ে গেলে তাদের থাকার ঘরে তালা দিয়ে দেন নাসিরউদ্দীন। কিছুক্ষণ পর বাড়ি ফিরলে আবার দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার হুমকি দেন।
বিষয়টি মৌখিকভাবে শিত্তরদাহ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল মালেক ও সহকারী উপপরিদর্শক ওহিদুল ইসলামকে জানালে তারা বিষয়টি নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করেন।
দুই পুলিশ কর্মকর্তা ব্যর্থ হলে শুক্রবার সকালে বাবা-বা ও বোন ঝিকরগাছা থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। বিকেলে পুলিশ নাসিরউদ্দীনকে বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে যায়।
বাবা-মা থানায় দেয়া অভিযোগে বলেন, ওই দিন তাদের ঘরে ঢুকে নাসিরউদ্দীন দুইটি স্মার্টফোন ও বোনের ব্যাগ থেকে ২৬ হাজার টাকা নিয়ে গেছেন।
ঘটনায় ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এ পর্যন্ত পুলিশ তাকে (নাসিরউদ্দিন) নিয়ে ছয়বার সালিশ করেছে। সংশোধন হওয়ার জন্য তাকে বারবার সুযোগ দেয়া হয়। কিন্তু নিজেকে তিনি বদলাতে পারেননি। তার নামে চাকরি দেয়ার নামে অর্থ আত্মসাৎ, নারী কেলেঙ্কারিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।’