প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে ছেলে ও স্বজনরা মিলে হত্যা করে ৭৫ বছরের বৃদ্ধ জাহির আলীকে।
গত বছরের ১৫ জুলাই ওই ঘটনার পর দীর্ঘ তদন্ত শেষে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শনিবার তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
শনিবার বিকেলে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ উল্ল্যা।
এসপি জানান, স্থানীয় বিজনা নদীর জলমহালের লিজ নিয়ে নবীগঞ্জ উপজেলার বাঁশডর গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে উভয়পক্ষের করা মামলার সংখ্যা ১০ থেকে ১২টি। বিরোধ নিরসনে পুলিশ ও প্রশাসন একাধিকবার উভয়পক্ষকে নিয়ে বসলেও কোনো লাভ হয়নি।
তিনি আরও জানান, দ্বন্দ্বের জের ধরে গত বছরের ১৫ জুলাই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই সময় জাহির আলীর ছেলে আরশ আলী ও তার স্বজনরা দাবি করেন, প্রতিপক্ষের লোকজন ঘরে ঢুকে তাকে খুন করেছে।
ওই ঘটনার পর ১৭ জুলাই আরশ আলী প্রতিপক্ষের ৯২ জনকে আসামি করে মামলা করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে বাদীপক্ষের লোকজনের কথাবার্তায় পুলিশের সন্দেহ হয়।
গত ২২ এপ্রিল বাদীপক্ষের মিসবাহ উদ্দিন নামে একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন। তার দেয়া তথ্যে গত ২৩ এপ্রিল বাদীপক্ষের সামছুল হক ও জিলু মিয়া নামে দুইজনকে আটক করে পুলিশ।
শনিবার হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পবন চন্দ্র বর্মণের আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে তারা জানান, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে জাহির আলীর ছেলে আরশ আলীর নেতৃত্বে তার পক্ষের সাতজন মিলে বিছানায় শুয়ে থাকা বৃদ্ধ জাহিরের পেটে ফিকল (বল্লম জাতীয় অস্ত্র) দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন।
পুলিশ সুপার জানান, জহিরের ছেলে আরশসহ বাকি ঘাতকরা এখনও পলাতক। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।