বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মর্গে যমজ শিশুর মরদেহ, ‘বাবা’ লাপাত্তা

  •    
  • ২৪ এপ্রিল, ২০২১ ২১:৫৯

রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে জানা যায়, বুধবার রাত ৩টার দিকে অসুস্থ দুই নবজাতককে নিয়ে এসে বাবা পরিচয়ে ভর্তি করান এক ব্যক্তি। জরুরি বিভাগের ভর্তি খাতায় তিনি নাম লেখেন মানিক; বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায়। শিশু দুটির নাম বলেন, বাবু।

রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বুধবার যমজ দুই নবজাতককে বাবা পরিচয়ে ভর্তি করেছিলেন এক ব্যক্তি। শিশু দুটি পরদিন দুপুরে মারা যায়। তবে এরপর সেই ব্যক্তিকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

হাসপাতালের মর্গে দুই দিন ধরে পড়ে আছে শিশু দুটির মরদেহ। এখনও তাদের অভিভাবকদের খুঁজে বের করতে পারেনি পুলিশ।

রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে জানা যায়, বুধবার রাত ৩টার দিকে অসুস্থ দুই নবজাতককে নিয়ে এসে বাবা পরিচয়ে ভর্তি করান ওই ব্যক্তি। জরুরি বিভাগের ভর্তি খাতায় তিনি নাম লেখেন মানিক; বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায়। শিশু দুটির নাম বলেন, বাবু।

জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের ভর্তি করা হয় হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে।

হাসপাতালে সর্দার অফিস জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশু ওয়ার্ড থেকে তাদের ফোন করে জানানো হয়, শিশু দুটি মারা গেছে। অভিভাবক খুঁজে না পেয়ে তারা মরদেহ মর্গে রাখে। পুলিশকেও খবর দেয়া হয়। এরপর দুই দিন ধরে মরদেহ দুটি মর্গেই আছে, কেউ নিতে যায়নি।

শিশু ওয়ার্ডের এক সেবিকা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে জানান, শিশু দুটিকে এখনও তাদের ওয়ার্ডে ভর্তি দেখানো হয়েছে। ছাড়পত্র দেয়ার কোনো কাগজপত্র তাদের কাছে নেই।

মরদেহ মর্গে গেল কীভাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে ভর্তির রেকর্ড ছাড়া আর কিছুই নেই।’

রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামুনুর রশীদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হাসপাতালে ভর্তির রেজিস্টার খাতায় যে নাম দেয়া হয়েছে তা অসম্পূর্ণ। ওখানে নাম লেখা আছে মানিক; বাড়ি পীরগঞ্জে। আবার ওয়ার্ডের ভর্তি রেজিস্টারে লেখা আছে মানিক; বাড়ি পীরগাছা, রংপুর। ফোন নম্বরও দেয়া নেই।

‘মূলত ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে নবজাতক দুটিকে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা অনুসন্ধান করে আসল ঠিকানা বের করার চেষ্টা করছি।’

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, এই ঘটনায় অপমৃত্যুর দুটি মামলা করেছে পুলিশ। অভিভাবকের খোঁজ না পেলে রোববার ময়নাতদন্ত শেষে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে তাদের দাফন করা হবে।

হাসপাতালের একাধিক কর্মকর্তা জানান, শিশু দুটিকে কে ভর্তি করিয়েছে, তা হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও শিশু ওয়ার্ডের ক্লোজ সার্কিট (সিসি) টিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখলেই পাওয়া যাবে। সেখান থেকে শিশু দুটির বাবা পরিচয় দেয়া ব্যক্তিকে খুঁজে পেতে পুলিশের কোনো অসুবিধা হবার কথা নয়।

হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক মোকাদ্দেম আলী বলেন, ‘বিষয়টি আমরা পুলিশকে জানিয়েছে। আইন অনুযায়ী প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে।’

এ বিভাগের আরো খবর