ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে মারধরের পর এক নারীর গায়ে আগুন দেয়ার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে।
বুধবারের ঘটনায় আহত ওই নারীকে শনিবার বিকালে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
৩৫ বছর বয়সী ওই নারীর নাম মরজিনা বেগম। তিনি তিন সন্তানের জননী।
অভিযুক্ত স্বামীর নাম সাদেকুল ইসলাম। তিনি চাড়োল ইউনিয়নের ছোট সিঙ্গিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
চিকিৎসাধীন মরজিনা বেগম নিউজ বাংলাকে বলেন, ‘প্রায় ১৮ বছর আগে সাদেকুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয়। তখন থেকেই আমাকে সময়-অসময়ে মারপিট করে সে। স্থানীয় চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা একাধিকবার সালিশ-বৈঠক করেছেন। তারপরও আমার ওপর নির্যাতন কমেনি।’
তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকালে বাড়ি ফিরে কোনো কারণ ছাড়াই সাদেকুল আমাকে মারপিট শুরু করে। যেহেতু রোজা ছিলাম, তাই কোনো প্রতিবাদ করিনি। পরদিন বুধবার সকালে আমার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় সে।’
পরিবারের লোকজন প্রথমে ওই নারীকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে আনা হয়।
হাসপাতালের চিকিৎসক রকিবুল আলম চয়ন বলেন, ‘গৃহবধূর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। শরীরের পেছনের ১৫ শতাংশ ঝলসে গেছে। তাকে আমরা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছি।’
স্বামী সাদেকুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি স্ত্রীর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেই নাই। সে ঘরের দরজা বন্ধ করে নিজেই শরীরে আগুন দিয়েছে। এখন আমাকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। আমাদের মাঝেমধ্যেই ঝগড়াঝাটি হত। এগুলো স্থানীয়ভাবে আপোস হয়েছে।’
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুল হক প্রধান বলেন, ‘গৃহবধূর শরীরে তার স্বামী আগুন ধরিয়ে দিয়েছে এ ধরনের কোনো লিখিত অভিযোগ কেউ দেয়নি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’