বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মেঘনার বালু লুট: চারটি খননযন্ত্র ধ্বংস

  •    
  • ২৪ এপ্রিল, ২০২১ ২০:৫৩

শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর ইউনিয়নের ঠান্ডার বাজার এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে মেঘনা নদী থেকে খননযন্ত্র দিয়ে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছিল। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খবির উদ্দিন খান ও যুবলীগের সভাপতি সুজন দেওয়ানের নেতৃত্বে চলছিল এই বালু লুট।

শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বালু তোলার খননযন্ত্র ধ্বংস করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার উপজেলা প্রশাসন এ অভিযান চালায়।

এ সময় চারটি খননযন্ত্র, বালু সরবরাহের বাল্কহেড ও ৫০০ মিটার প্লাস্টিকের পাইপ ধ্বংস করা হয়। জব্দ করা হয় খননযন্ত্রগুলোর ব্যাটারি।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলমগীর হোসাইন। মেঘনা নদীর ঠান্ডার বাজার এলাকা থেকে তিনটি এবং সাইখ্যা এলাকা থেকে একটি খননযন্ত্র জব্দ করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, উপজেলার কোদালপুর ইউনিয়নের ঠান্ডার বাজার এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে মেঘনা নদী থেকে খননযন্ত্র দিয়ে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছিল। ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খবির উদ্দিন খান ও যুবলীগের সভাপতি সুজন দেওয়ানের নেতৃত্বে চলছিল এই বালু লুট। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এর আগেও অভিযান চালিয়ে একাধিকবার জরিমানা করা হয়। তারা আর বালু তুলবেন না, এমন শর্তে প্রশাসন তাদের ছেড়ে দেয়। কিন্তু দলীয় ক্ষমতার অব্যবহার করে প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে দিন পর দিন তারা বালুর ব্যবসা করে আসছিলেন।

মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে কোদালপুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খবির খা ও যুবলীগের সভাপতি সুজন দেওয়ান এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

ইউএনও আলমগীর হোসাইন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। একাধিকবার ভ্রাম্যমাণ অভিযান চালিয়ে জরিমানা করে তাদের সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু তারা প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে আবারও বালু উত্তোলনের কাজ করছিল। তাই অভিযান চালিয়ে খননযন্ত্র ভেঙে ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া বালু সরবরাহের পাইপও ধ্বংস করা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর