ফরিদপুরে ভাঙ্গা থানায় হামলা মামলায় গ্রেপ্তার হেফাজত নেতা আবুল হুসাইনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
শুক্রবার তাকে ৭ দিনের রিমান্ডে পাঠায় মুখ্য বিচারিক হাকিম ফারুক হোসাইন।
পুলিশ আবুল হুসাইনকে ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেছিল।
আবুল হুসাইন ফরিদপুর জেলা হেফাজতে ইসলামের আহ্বায়ক কমিটির সহসভাপতি। তিনি ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট মোল্লাবাড়ির কলোনি জামে মসজিদে ইমাম। শুক্রবার ভোর রাতে আবুল হুসাইনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২৭ মার্চ বেলা সোয়া দুইটার দিকে হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা ভাঙ্গা থানায় ব্যাপক ভাঙচুর করেন। হামলায় দুই পুলিশ সদস্যসহ ১০ জন আহত হন।
ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এস আই) শহীদুল্লাহ অজ্ঞাতপরিচয় ৩০০ ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় আবুল হুসাইনসহ মোট ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক বিকাশ মন্ডল বলেন, ২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর গোপালগঞ্জ সফরের পর ভিআইপিরা যাতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ও এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে নির্বিঘেœ ঢাকায় ফিরতে না পারেন, সে জন্য ভাঙ্গা থানায় পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়। মামলার তদন্তের সূত্র ধরে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় গ্রেপ্তার করা হয় জেলা হেফাজতের নেতাকে। এ পর্যন্ত এ মামলায় ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
বিকাশ মন্ডল বলেন, আবুল হোসাইনকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে তোলা হলে আদালত সাত দিনের রিমান্ডে পাঠায়। এ ছাড়া গ্রেপ্তার বাকি ১৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড শেষে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।