সাভারের রানা প্লাজা ধসে নিহত শ্রমিকদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন স্বজন ও শ্রমিকসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
উপজেলার বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে শনিবার সকাল ৭টা থেকে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ অস্থায়ী বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু হয়।
ভবনটি ধসের অষ্টম বার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিভিন্ন শ্রমিকসংগঠন, আহত শ্রমিক ও নিহত শ্রমিকের স্বজনরা। ওই সময় নিহত শ্রমিকদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়।
এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচার ও নিহত-আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন, তাদের সন্তানদের শিক্ষার ব্যবস্থাসহ বেশ কয়েকটি দাবি জানান তারা।
শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার বলেন, ‘৭ বছর পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত রানা প্লাজার বিচারকাজ শেষ হয়নি। প্রতিশ্রুতি মতো দেয়া হয়নি শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ। রানা প্লাজার দুর্ঘটনায় অনেক শ্রমিকের জীবন অন্ধকারে চলে গেছে।
‘সরকার তাদের নামমাত্র ক্ষতিপূরণ দিলেও অনেক পরিবার এখনও মানবেতর জীবনযাপন করছে। তারা রানার ফাঁসিসহ ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানান।’
এদিন সকাল থেকেই রানা প্লাজার সামনে মোতায়েন করে রাখা হয়েছে অতিরিক্ত শিল্প পুলিশ।
সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ অস্থায়ী বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন, আহত শ্রমিক ও নিহত শ্রমিকের স্বজনরা। ছবি: নিউজবাংলা
২০১৩ সালের এই দিনে সাভারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ভবন ধসে মৃত্যু হয় ১ হাজার ১৩৬ জনের। গুরুতর আহত হয় আরও কয়েক হাজার মানুষ। তাদের অধিকাংশই শ্রমিক।
ওই ঘটনার পরদিনই সাভার থানায় একটি হত্যা মামলাসহ চারটি মামলা করা হয়। পাঁচ দিন পর বেনাপোল সীমান্ত থেকে সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।
তদন্ত শেষে হত্যা মামলায় সোহেল রানাসহ ৩৮ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। তবে কোনো একটি মামলাতেও রায় আসেনি।