বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনায় ভালো নেই নরসুন্দররা

  •    
  • ২৪ এপ্রিল, ২০২১ ০০:৩৩

করোনার সময়ে ভালো নেই মেহেরপুরের সেলুন ব্যবসায়ে যুক্ত নরসুন্দররা। অভাবের সংসার লকডাউনে হয়ে উঠেছে দুঃসহ। বাজার, দোকান বন্ধ। নেই সাহায্য, সহযোগিতা। করোনা সংক্রমণের ভয়ে বেশির ভাগ মানুষ হচ্ছেন না সেলুনমুখী। পেটের দায়ে ভিন্ন কাজ করার সুযোগও নেই তাদের।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আতঙ্ক ছড়াচ্ছে চারদিকে। লকডাউনের কারণ ছাড়াও মানুষ হাটবাজারে যাচ্ছেন কম। দোকানপাট বন্ধ থাকায় রাস্তাঘাটে কমেছে জনসমাগম। আর তাতে মেহেরপুর জেলার হাটে বাজারে, খোলা আকাশের নিচে কিংবা পাকা দালানের মধ্যে থাকা নরসুন্দরররা অর্থাৎ সেলুন ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে।

মেহেরপুর জেলায় প্রায় হাজারখানেক মানুষ সেলুন ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত। তাদের আয়ের উৎস এখন পুরোপুরি বন্ধ। করোনার সময়কালে মেলেনি তাদের ন্যূনতম সরকারি সহায়তা।

গাংনী উপজেলার চুল-দাড়ি কাটার সেলুন প্রিন্স জেন্টস পার্লারের মালিক সজীব আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পঁচিশ বছর আগে একটি চাটাইঘেরা দোকানে আমার বাবার হাতে সেলুনের কাজ শুরু। সড়ক দুর্ঘটনায় বাবার একটি পা কাটা পড়লে আমাদের দুই ভাইকে সংসারের হাল ধরতে হয়। পুরোনো দোকান বদলে আধুনিক করেছি। অর্থ যোগান দিতে গরু বিক্রির পাশাপাশি নিতে হয়েছে ঋণ। এখন লকডাউনে দোকান বন্ধ। প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে দোকান খুলে বসে থাকলেও কাস্টমার নেই। মানুষের ধারণা সেলুনে এলে করোনা হবে।’

খোলা আকাশের নিচে বাজারে বসা নরসুন্দর ইউনুচ আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পয়ত্রিশ বছর ধরে চুল দাড়ি কাটছি, এমন বিপদে পড়িনি। হাটের দিনে চুল দাড়ি কাটতে আসলি পুলিশে বাধা দিছে। সরকার থেকে একবার শুধু দশ কেজি চাল ও পাঁচ কেজি আলু সাহায্য পাইছিলাম। আমাদের কাজ করতে না দিলে খাব কি।’

নরসুন্দর কবলুচ হোসেন বলেন, ‘আমি সেই পাকিস্তান আমল থেকে চুল দাড়ি কাটি। সপ্তাহে দুইদিন হাটে চুল কাটতে বসি। যা আয় করি তা দিয়ে বুড়া বুড়ির চইলি যায়। দেশে করোনা হইয়েছে, যার জন‍্যে এখন কাজ কাম কম বন্ধ। কাজ না করলে খাব কি?’

এ বিভাগের আরো খবর