বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এমপি দিলেন তিনটি আইসিইউ বেড, দেবেন মেয়রও

  •    
  • ২৩ এপ্রিল, ২০২১ ২৩:৩৮

বাগেরহাট সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আইসিইউগুলো বসানো হয়েছে। স্থানীয় মেয়র দেবেন একটি, আর সরকার পাঠাবে ১০টি। কিন্তু সেখানে কোনো প্রশিক্ষিত ডাক্তার, নার্স, টেকনিশিয়ান কিছুই নেই।

প্রশিক্ষিত ডাক্তার নেই, নেই টেকনিশিয়ান। এর মধ্যে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের জন্য তিনটি আইসিইউ শয্যা দিলেন সংসদ সদস্য শেখ সাহরান নাসের তন্ময়।

স্থানীয় প্রশাসন ও চিকিৎসা বিভাগ এই শয্যাগুলো পেয়ে অবশ্য উৎফুল্ল। বলেছে, এর মধ্য দিয়ে জেলার চিকিৎসা সেবা আরও এগিয়ে যাবে।

শুক্রবার বিকেলে ১৫০ শয্যা হাসপাতাল ভবনের তিন তলায় আনুষ্ঠানিকভাবে শয্যাগুলো গ্রহণ করা হয়।

সেখানে উপস্থিত বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান নিজ উদ্যোগে আরও একটি আইসিইউ শয্যা দেয়ার ঘোষণা করেন।

এ সময় জানানো হয়, সরকারি ভাবেও ১০টি আইসিইউ শয্যা পাঠানো হবে বাগেরহাটের জন্য। সব মিলিয়ে তখন শয্যা সংখ্যা দাঁড়াবে ১৪টিতে।

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, ‘করোনা হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেনসহ ৩০টি শয্যা রয়েছে। আমরা রোগীদের সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের এখানে আইসিউ না থাকায় গুরুতর রোগীদের খুলনা স্থানান্তর করতে হতো। যার ফলে অনেক রোগীই বিপদে পরে যেতেন। আজ এখানে আইসিউ শয্যা সংযোজিত হল। এর ফলে আমরা গুরুতর অসুস্থ্য রোগীদের এখানেই চিকিৎসা দিতে পারব।

তবে এই চিকিৎসা কর্মকর্তা যে আশার কথা বলেছেন, সেটি কতটা সহজ হবে সে প্রশ্ন উঠে তার দেয়া তথ্যেই।

নিউজবাংলার প্রশ্নে সিভিল সার্জন স্বীকার করেন, তাদের কোনো আইসিইউ স্পেশালিস্ট চিকিৎসক, নার্স বা টেকনিশিয়ান নেই।

তাহলে এগুলো কীভাবে চালাবেন, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘শয্যা দেখভালের জন্য দুই জন ডাক্তার ও পাঁচজন নার্স দেয়া হয়েছে। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ থেকে আগামী সপ্তাহে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। যখন লকডাউন উঠে গেলে যাতায়াত করা যাবে, তখনই তাদেরকে পাঠানো হবে।’

তাহলে আইসিইউ এর সুবিধা পেতে আরও সময় লাগবে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘না, অলরেডি চালু আছে, জরুরি প্রয়োজনে আমরা ব্যবহার করতে পারব।’

টেকনিশিয়ান ছাড়া শয্যাগুলো কীভাবে স্থাপন করা হলো- এমন প্রশ্নে সিভিল সার্জন বলেন, ‘যে কোম্পানির কাছ থেকে এগুলো কেনা হয়েছে, তাদের লোকজনই এটি সেটআপ করে দিয়ে গেছেন। আবার আমাদের দুই জন কর্মীকে শিখিয়ে দিয়ে গেছেন।’

এ সময় বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আ ন ম ফয়জুল হক, পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক, সিভিল সার্জন কে এম হুমায়ুন কবির, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভূঁইয়া হেমায়েত উদ্দিন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের বাগেরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের একান্ত সচিব এইচএম শাহিনসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

একই ঘটনা অন্য জেলাতেও

বাগেরহাট ছাড়াও সম্প্রতি আরও কিছু জেলা সদর হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা পাঠানো হয়েছে। এর কতগুলো সংযোজন করা যায়নি। কতগুলো বসানো হলেও রোগীরা সেবা পাচ্ছেন না প্রশিক্ষিত চিকিৎসক ও নার্সের অভাবে।

গত বছর দেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর বড় বড় শহরগুলোতে হাসপাতালে আইসিইউ সুবিধা না থাকার বিষয়টি সামনে আসে। এই পরিস্থিতিতে সরকার বিদেশ থেকে বেশ কিছু শয্যা কিনে আনে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে যে ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়েছে পড়েছে, সেটি রোগীদেরকে দ্রুত অসুস্থ করে দিচ্ছে। তাদের অক্সিজেন লাগছে বেশি। পাশাপাশি দিতে হচ্ছে আইসিইউ সুবিধা।

এই পরিস্থিতিতে সরকার বিভিন্ন জেলাতে আইসিইউ সুবিধা স্থাপন করছে। এরই মধ্যে লক্ষ্মীপুর, ভোলা, পটুয়াখালীসহ বিভিন্ন জেলায় আইসিইউ শয্যা পাঠানো হয়েছে।

তবে এ ক্ষেত্রেও সমন্বয়হীনতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বরিশালে বিশেষজ্ঞের অভাবে ২৪ শয্যার আইসিইউ ইউনিট পরিচালনা করছেন একজন অজ্ঞানবিদ। ভোলা, পটুয়াখালীতে শয্যা সংযোজনই করা হচ্ছে না।

এই দুই জেলাতে আইসিইউ ইউনিট চালু করতে বরিশালের সহায়তা নিতে বলা হয়েছে। তবে বরিশালের আইসিইউ ইউনিটের দায়িত্বে থাকা নাজমুল হুদা বলেছেন, তাদেরই লোকবল নেই। এই অবস্থায় অন্য জেলায় সাপোর্ট দেয়া অসম্ভব।

এ বিভাগের আরো খবর