ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে তথ্য গোপন করে একাধিকবার করোনা টেস্ট করায় বেসরকারি ব্যাংকের এক কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঝোটন চন্দ শুক্রবার দুপুরে এই অভিযান পরিচালনা করেন।
জরিমানা গোনা ওই ব্যাংকারের নাম হাফিজুর রহমান। তিনি প্রাইম ব্যাংকের বোয়ালমারী শাখায় কর্মরত জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
ভ্রাম্যমাণ আদালত জানায়, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড ফরিদপুরের বোয়ালমারী শাখার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান ও তার স্ত্রী তাইয়েবা আক্তার মিলা গত ৫ এপ্রিল বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা পরীক্ষা করান। একদিন পর রিপোর্টে স্ত্রী মিলা করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন। কিন্তু হাফিজুর রহমানের করোনা পরীক্ষার ফল কারিগরি ত্রুটির কারণে আসেনি।
এরপর গত ৮ এপ্রিল মো. হাফিজুর রহমান ও তার স্ত্রী তাইয়েবা আক্তার মিলা তাদের নাম পাল্টে রিপন খান ও নিলা বেগম নামে পুনরায় করোনার টেস্ট করান। ওই টেস্টে উভয়েরই করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। এরপর পরিচয় গোপন করে আবার ওই দম্পতি ২১ এপ্রিল নিজেদের আসল নামে করোনা টেস্ট করান।
এবারও তাদের করোনা পজিটিভ আসে। এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খালেদুর রহমান গত কয়েক দিনে মো. হাফিজুর রহমান ও রিপন খানের মোবাইলে ৮-১০ বার ফোন দিয়ে তাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। এক পর্যায়ে বিষয়টি তিনি নিশ্চিত হন যে হাফিজুর রহমান ও রিপন খান একই ব্যক্তি।
তথ্য গোপনের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তিনি বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দকে বিষয়টি জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে পৌরসভার আঁধারকোঠায় হাফিজুর রহমানের বাসায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালান। এ সময় রোগ সংক্রমণ (প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইনের ২০১৮ এর ২৬ এর ২ ধারায় ওই দম্পতিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঝোটন চন্দ বলেন, ‘তথ্য গোপন করে বারবার করোনা পরীক্ষা করিয়েছেন মো.হাফিজুর রহমান ও তার স্ত্রী। তারা দুজনই স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজনকে হয়রানি করেছেন।’