বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ধর্ষণের পর জমি দেয়ার শর্তে রফার অভিযোগ

  •    
  • ২৩ এপ্রিল, ২০২১ ২২:১৮

ধর্ষণের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে দিনভর দৌড়ঝাঁপ করে স্থানীয় একটি মহল। থানা এবং ইউনিয়ন পরিষদে ছোটাছুটির পর বিকেলে ধর্ষকের বাড়িতে সালিশ বসায় স্থানীয় কিছু লোক। সেখানে কিশোরীর নামে পাঁচ কাঠা জমি লিখে দেয়ার সিদ্ধান্তে রফা হয়।

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় দশম শ্রেণির স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা গ্রাম্য সালিশে জমি লিখে দেয়ার সিদ্ধান্তে রফার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজের পর শুক্রবার সকালে ওই কিশোরীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, ধর্ষণের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে দিনভর দৌড়ঝাঁপ করে স্থানীয় একটি মহল। থানা এবং ইউনিয়ন পরিষদে ছোটাছুটির পর বিকেলে ধর্ষকের বাড়িতে সালিশ বসায় স্থানীয় কিছু লোক। সেখানে কিশোরীর নামে পাঁচ কাঠা জমি লিখে দেয়ার সিদ্ধান্তে রফা হয়।

সালিশে কুশঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য লাভলী বেগম, ইউনিয়ন যুবদল নেতা টিপু সুলতানসহ সাইদুর রহমান সোহেল ফরাজী ও দেলোয়ার হোসেন নামে কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।

তবে সালিশে উপস্থিত থাকার বিষয়টি কেউ গণমাধ্যমের কাছে স্বীকার করেননি।

এ বিষয়ে যুবদল নেতা টিপুকে ফোন করলে তিনি উত্তেজিত হয়ে যান। নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সাংবাদিকদের কাছে আমার নম্বর যে দিয়েছে, সে একটা জানোয়ার। আমি কিছু জানি না।’

কুশঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, যুবদল নেতা টিপু ভাইকে নিয়ে সকালে তার কাছে গিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে দিতে বলেন। তিনি মীমাংসা করবেন না জানিয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অথবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে যেতে বলেন।

ধর্ষণের শিকার কিশোরী জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে শৌচাগারে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হবার পর তার চোখ-মুখ বেঁধে বাড়ির পেছনের খালের পাশে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মুখ খোলার পর তিনি ধর্ষণের অভিযোগ ওঠা যুবকের কন্ঠ শুনতে পান। পরে ওই যুবক তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।

স্থানীয় কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে জানান, দীর্ঘ সময় ঘরে না আসায় কিশোরীর পরিবার তাকে খুঁজতে বের হয়। তাকে না পেয়ে রাতেই প্রতিবেশী ওই যুবকের বাড়িতে যান তারা। বাড়িতে তাকে না পেয়ে ফোন করলে তিনি ফোন ধরেননি। ভোরে বাড়িতে গিয়ে যুবক জানান, রাতে তিনি নানার বাড়িতে ছিলেন।

তারা আরও জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে যুবকের নানার বাড়ির সামনের রাস্তার পাশ থেকে ওই কিশোরীকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করেন যুবদল নেতা টিপুসহ এলাকাবাসী।

ওই গ্রামের কবির হোসেন জানান, অসুস্থ কিশোরীসহ তার ভাই, বোন ও ভগ্নিপতিকে থানার দিকে নিয়ে যান টিপু। তবে নলছিটি থানার সেকেন্ড অফিসার মফিজুর জানান, কিশোরী বা তার পরিবারের কেউ থানায় যাননি।

নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্কুল শিক্ষার্থী ধর্ষণের কোনো অভিযোগ আমি পাইনি। গ্রাম্য সালিশ হয়েছে তাও আমার নলেজে নেই। কেউ আমাকে জানায়নি।’

এ বিভাগের আরো খবর