করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সর্বাত্মক লকডাউনের মধ্যেই সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার টুকেরবাজারে বসেছে পশুর হাট।
হাটে আসা লোকজন বলছে, এই সময়ে জমায়েতের ঝুঁকি তারাও জানেন। তবে বসে থাকলে সংসার চলে না। তাই তারা এই পরিস্থিতিতেও বাইরে আসতে বাধ্য হয়েছে।
সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের টুকেরবাজারে বসেছে এই হাট। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলের কথা বলা হলেও এখানের চিত্র ভিন্ন। হাটে আসা লোকজনের মুখে মাস্ক নেই।
সেখানে পশু বিক্রির রশিদ নিয়ে বসে থাকতে দেখা যায় ইজারাদার মনিরুজ্জামানকে।
তিনি প্রথমে এ বিষয়ে কিছু বলবেন না জানালেও পরে দোষ দিলেন বিক্রেতার উপর।
তিনি বলেন, ‘আমরা আগেই মাইকিং করিয়া নিষেধ দিসি বাজার বন্ধ। তারপরেও তারা গরু ছাগল নিয়া আইছে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা এক টাকাও কালেকশন করতেছি না।’
টুকেরবাজারে বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, ‘সরকার লকডাউন দিয়েছে আমাদের ভালার লাগি। কিন্তু এরা গরুর বাজার বয়াইয়া মানুষের ভিড় করে, আল্লাহ জানে ইকানো করোনার কিলান চাষাবাদ অইব।’
গরু বিক্রি করতে আসা অবদপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘পেটে দায়ে বাজারে গরু নিয়া আইছি। বাজার খুলাই আছিল, করোনা বাবা আমরার কিচ্ছু করতে পারত না। আমরা না খাইয়াই মরমু।’
কামারটুক গ্রামের সেলিম মিয়া বলেন, ‘আমরা বাজার খোলা পাইছি, গরু নিয়া আইছি। ইহানো আমরার কোনো দোষ নাই। আমরা পেটের দায়ে আইছি।’
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান শাহরিয়ার বলেন, ‘প্রশাসন লকডাউনের মধ্যেও পশুর হাট বসানোর কোন অনুমতি দেইনি। তবে যেহেতু বলছেন আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’