বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চা শ্রমিকের মৃত্যু: ৮ ঘণ্টা পর ঘরে ফিরল শ্রমিকরা

  •    
  • ২৩ এপ্রিল, ২০২১ ১৯:৪৬

বাগান কর্তৃপক্ষ ও বাগান পঞ্চায়েতরা বলছেন, অভিযোগ ওঠা চিকিৎসককে আপাতত কাজ থেকে বিরত রাখা হবে। এ ছাড়া দ্রুত ওই চিকিৎসককে বদলি করা হবে বলেও আশ্বস্ত করা হয়েছে।

টানা আট ঘণ্টার কর্মবিরতি শেষে বাগান কর্তৃপক্ষ ও বাগান পঞ্চায়েতের আশ্বাসে ঘরে ফিরলেন মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের চা শ্রমিকেরা।

বাগান কর্তৃপক্ষ ও বাগান পঞ্চায়েতরা বলছেন, অভিযোগ ওঠা চিকিৎসককে আপাতত কাজ থেকে বিরত রাখা হবে। এ ছাড়া দ্রুত ওই চিকিৎসককে বদলি করা হবে বলেও আশ্বস্ত করা হয়েছে।

এক শ্রমিকের মৃত্যু নিয়ে কালিঘাট বাগানের বটতল এলাকায় শুক্রবার সকাল ৮টায় শুরু হয় কর্মসূচি।

যার মৃত্যু ঘিরে কর্মসূচি তিনি কালিঘাট বাগানের শ্রমিক মন্টু তাঁতী। তিনি ফিনলে টি কোম্পানির কালিঘাট বাগানে কাজ করতেন।

গত সোমবার মন্টু তাঁতী জ্বর ও কাশি নিয়ে বালিশিরা হাসপাতালে ভর্তি হন। দুইদিন পর চিকিৎসক নাদিরা বেগম রোগীর করোনা হয়েছে জানিয়ে তাকে বাড়িতে নিয়ে যেতে বলেন। এ অবস্থায় পরিবারের লোকজন হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সরকারি হাসপাতালে পাঠানোর অনুরোধ করেন। কিন্তু নাদিরা বেগম অসম্মতি জানালে তারা অসুস্থ মন্টুকে অন্য বাহনে করে বাড়িতে নিয়ে যান।

রোগীর অবস্থা খারাপ হলে স্বজনরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নজরুল ইসলামের কাছে যান। তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেন। মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মন্টুকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ নিয়ে চা শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। তারা কাজে যোগ না দিয়ে ওই চিকিৎসকের অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে নামেন। প্রথমে মিছিল করেন ও পরে বটতলা এলাকায় অবস্থান নেন।

এ বিষয়ে বালিশিরা ভ্যালি অঞ্চলের চা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বিজয় হাজরা নিউজবাংলাকে জানান, হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও চিকিৎসক নাদিরা খনম তা দিতে রাজি হননি। সঠিক সময়ে অ্যাম্বুলেন্স দিলে হয়তো লোকটি মারা যেত না। এ নিয়ে শ্রমিকরা অসন্তুষ্ট হয়ে ডাক্তারের অপসারণের দাবি তুলে কাজে যাননি। পরে বাগান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী সোমবার পর্যন্ত ডাক্তারকে কাজ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। সেই সঙ্গে সোমবারের পরে তাকে অন্যত্র বদলির আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা ঘরে ফেরেন। আগামীকাল থেকে শ্রমিকরা কাজে যোগ দেবেন।

এ বিষয়ে বালিশিরা হাসপাতালের চিকিৎসক নাদিরা খানম জানান, এটা বাগান কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত ছিল যে করোনা রোগীকে অ্যাম্বুলেন্স দেয়া যাবে না।

ফিনলে টি কোম্পানির বালিশিরা ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজার সৈয়দ সালাহ্ উদ্দিন নিউজবাংলাকে জানান, বাগানে একটি অ্যাম্বুলেন্স। এটি শ্রমিকদের চিকিৎসার্থে ব্যবহার হয়। ওই রোগী করোনা পজিটিভ থাকায় চিকিৎসক এটি দিতে রাজি হননি। কারণ এ অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে অন্য রোগীকেও বহন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন শ্রমকল্যাণের প্রতিনিধি, বাগান পঞ্চায়েতের প্রতিনিধি ও শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা আলোচনা শেষে আপাতত ডাক্তারকে সোমবার পর্যন্ত হাসপাতালে না যেতে বলেছেন। সোমবারের পরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর