বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সেই শিক্ষিকা করোনামুক্ত কি না নিশ্চিত নয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ

  •    
  • ২৩ এপ্রিল, ২০২১ ১৯:১৮

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, ‘রেহানা পারভীনের পরিবার তাকে বাসায় নিয়ে যেতে চেয়েছে, তাই তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। তবে কোনো টেস্ট করেননি ওই রোগী। তিনি করোনা নেগেটিভ কি না সেটা নিশ্চিত না হওয়ায় তার সংস্পর্শে এসে অন্য যে কেউ করোনা আক্রান্ত হতে পারেন। স্বেচ্ছায় যখন চলেই গেছেন, এখন তার উচিত নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে থাকা।’

করোনা পজিটিভ হওয়ার পর দ্বিতীয়বার করোনা পরীক্ষা করাননি ঝালকাঠির নলছিটি থেকে মোটরসাইকেলে করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সেই শিক্ষিকা রেহানা পারভীন। তিনি করোনামুক্ত হয়েছেন কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

১৭ এপ্রিল ঝালকাঠির ব্যাংক কর্মকর্তা জিয়াউল হাসান অ্যাম্বুলেন্স এবং অন্য কোনো যানবাহন না পেয়ে নিজের শরীরে অক্সিজেন সিলিন্ডার বেঁধে মা রেহানা পারভীনের মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগিয়ে মোটরবাইকে করে বরিশালে আসেন। মাকে ভর্তি করেন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে।

ওইদিন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দায়িত্বরত বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট তৌহিদ টুটুল অক্সিজেন শরীরের সঙ্গে বেঁধে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করলে তা ভাইরাল হয়।

এদিকে করোনার পরীক্ষা আবার না করিয়েই শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ছেড়েছেন রেহানা পারভীন। শুক্রবার দুপুরে তিনি নিজ বাড়িতে ফিরে যান ছেলের সঙ্গে ওই মোটরবাইকে করেই। হাসপাতাল সূত্র বলছে, নমুনা দেননি ওই রোগী। স্বেচ্ছায় ত্যাগ করেছেন হাসপাতাল।

রেহানা পারভীনের ছেলে জিয়াউল হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘১৫ দিন আগে করোনা টেস্ট করানো হয়েছিল। তখন পজিটিভ আসে। মা এখন সুস্থ হওয়ায় তাকে নিয়ে চলে এসেছি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আর নমুনা দেয়া হয়নি। তবে আমি নিশ্চিত যে মা করোনা নেগেটিভ।’

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, ‘রেহানা পারভীনের পরিবার তাকে বাসায় নিয়ে যেতে চেয়েছে, তাই তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। তবে কোনো টেস্ট করেননি ওই রোগী। তিনি করোনা নেগেটিভ কি না সেটা নিশ্চিত না হওয়ায় তার সংস্পর্শে এসে অন্য যে কেউ করোনা আক্রান্ত হতে পারেন। স্বেচ্ছায় যখন চলেই গেছেন, এখন তার উচিত নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে থাকা।’

এ বিভাগের আরো খবর