করোনা মহামারির কারণে রানা প্লাজা ধসের অষ্টম বর্ষপূর্তি সীমিত পরিসরে পালন করা হবে বলে জানিয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলো।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল ঢাকার সাভারে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটে। এতে মারা যান ১ হাজার ১৩৬ জন। গুরুতর আহত হন আরও কয়েক হাজার মানুষ। এদের মধ্যে পঙ্গু হয়ে যান ১ হাজার ১৬৯ জন।
প্রতি বছর দিবসটি স্মরণে বিধ্বস্ত রানা প্লাজার সামনে জড়ো হন দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া শ্রমিক, নিহত শ্রমিকদের স্বজন, আহত শ্রমিক ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
কিন্তু করোনা মহামারির কারণে গত বছর দিবসটি পালনে উপজেলা প্রশাসনের বিধিনিষেধ থাকায় অস্থায়ী বেদির সামনে তেমন কোনো কর্মসূচি হয়নি।
এ বছরে কর্মসূচি নিয়ে বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি অরবিন্দ বেপারী বিন্দু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রানা প্লাজা ধসের অষ্টম বছর পূর্তিতে আমরা শনিবার সকালে বেদির সামনে ফুল দেব। এটি অবশ্যই আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ছোট আকারে করছি।’
তিনি বলেন, ‘গত বছরেও করোনার কারণে আমরা বিশটি সংগঠন কর্মসূচি স্থগিত করে অনলাইনে দিবসটি পালন করেছিলাম।’
গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাংগঠনিক সম্পাদক খাইরুল মামুন মিন্টু বলেন, ‘দিনটি স্মরণে শুক্রবার অস্থায়ী বেদিতে মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। তবে সীমিতসংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে এই কর্মসূচি পালন করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘শনিবার সকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করা হবে। আগে মাইক ও ব্যানার লাগিয়ে, স্টেজ তৈরি করে আমরা নানা কর্মসূচি পালন করেছি। কিন্তু করোনার কারণে এ বছর আমরা এগুলো করছি না।’
সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘মহামারির সময় কোনোভাবেই স্বাস্থ্যবিধি ভাঙা যাবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রোগ্রাম করার জন্য তাদের অনুরোধ করা হয়েছে।’