নড়াইলের লোহাগড়ায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে পিস্তল ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
সরকারি কাজে বাধা ও অস্ত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে এই মামলা করে।
মামলায় দিঘলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ওহিদুর সরদারসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আসামিও রয়েছে।
মামলায় এখন পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। তারা হলেন সোহানা রোজি, জাহানারা চৌধুরী ও সেলিনা বেগম।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, এএসআই মিকাইল বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
মামলায় বলা হয়, দিঘলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কুমড়ি গ্রামের ওহিদুর সরদার ও লুটিয়া গ্রামের ফিরোজ শেখের সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তর নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জেরে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।
এ সময় এএসআই মীর আলমগীর ও এএসআই মিকাইল তাদের থামানোর চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যের ওপর হামলা হয়। ছিনিয়ে নেয়া হয় আলমগীরের গুলি ভর্তি পিস্তল।
ওসি জানান, পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালায় ওহিদুর সরদার পক্ষের ২০-২৫ জন।
হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত এএসআই আলমগীরকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তার মাথা ও বাম হাত কোপানো হয়েছে। শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে।
আহত অপর পুলিশ সদস্য মিকাইলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।
ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, ‘এএসআই আলমগীরের কাছ থেকে আটটি গুলিসহ তার পিস্তলটি ছিনিয়ে নিয়েছিল। পরে একটি মসজিদের পাশে অস্ত্রটি পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সোহানা রোজি ও জাহানার চৌধুরীকে প্রথম আটক করা হয়। পরে এই দুই জনসহ অপর এক নারীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।