বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফতুল্লায় বিস্ফোরণ রান্নাঘরের লিক হওয়া গ্যাস থেকে

  •    
  • ২৩ এপ্রিল, ২০২১ ১২:০২

পুলিশ জানায়, রাতে রান্নাঘরের গ্যাস লাইনের পাইপ থেকে গ্যাস বের হয়ে জমাট বেঁধে ছিল। ভোরে চুলায় আগুন জ্বালালে বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থলে জেলা প্রশাসন ও তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তারা এসেছেন।

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ভবনে বিস্ফোরণটি হয়েছে রান্নাঘরের গ্যাসের লাইনের লিকেজের কারণে, বলছে পুলিশ।

ফতুল্লার তল্লার ওই ভবনটি পরিদর্শন করে এই কথা জানিয়েছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান মেহেদী। ঘটনাস্থলে আছেন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির কর্মকর্তারাও।

তিনতলার ওই ভবনের তৃতীয় তলায় শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে এই বিস্ফোরণ হয়। এতে দগ্ধ হন পাশাপাশি দুই ফ্ল্যাটে থাকা দুই পরিবারের ১১ জন সদস্য।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান মেহেদী জানান, ‘ওই বাড়ির তৃতীয় তলায় বেশ কয়েকটি পরিবার বসবাস করে। একটি ফ্ল্যাটে রাতে রান্নাঘরের গ্যাস লাইনের পাইপ থেকে গ্যাস বের হয়ে জমাট বেঁধে ছিল। ভোরে চুলায় আগুন জ্বালালে বিস্ফোরণ ঘটে। প্রাথমিকভাবে আমরা এসব বিষয়ে জানতে পেরেছি। ঘটনাস্থলে জেলা প্রশাসন ও তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তারা এসেছেন।’

তিতাস গ্যাসের নারায়ণগঞ্জের ডিপুটি ম্যানেজার গোলাম ফারুক নিউজবাংলাকে জানান, ঘটনাস্থলে জরুরি টিম কাজ করছে। সেখানে গ্যাস লাইনে কী ধরনের সমস্যা হয়েছে, তা শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। তিতাসের পক্ষ থেকে ঘটনা তদন্ত করা হবে।

ভবনটির অন্য ফ্ল্যাট ও আশপাশের ভবনের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভোরে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হলে তৃতীয় তলার দেয়াল ভেঙে নিচে পড়ে গেছে। আগুনের তাপ পাশের ভবনেও ছড়িয়েছে। ফ্ল্যাটের দুটি কক্ষের দেয়াল উড়ে গেছে। রান্নাঘর ও বাথরুমের দুটি দেয়াল সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তারা জানান, এ ঘটনায় দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে একই পরিবারের ছয়জন ও আরেক পরিবারের পাঁচজন আছেন। নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরিফীন জানান, দগ্ধদের মধ্যে শিশুসহ পাঁচজনকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন হাবিবুর রহমান, লিমন, সাথী, মীম, তিন বছরের শিশু মাহিরা, আলেয়া বেগম, সোনাহার, শান্তি আক্তার, সামিউল, মনোয়ারা। আরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিফা জহুরা নিউজবাংলাকে জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আহত ব্যক্তিদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

তল্লারই বাইতুস সালাত জামে মসজিদে গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর রাতে বিস্ফোরণ হয়। সে সময় এশার নামাজ পড়তে যাওয়া ৩৭ জন মুসল্লি ও ১ জন পথচারী দগ্ধ হন। এদের মধ্যে ৩৪ জন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে মারা যান।

ঘটনার ছয় দিন পর ১০ সেপ্টেম্বর তদন্তের দায়িত্ব নেয় পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (সিআইডি)।

বিস্ফোরণের কারণ হিসেবে সিআইডির প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনার আগে থেকে তিতাস গ্যাস পাইপের লিকেজ থেকে গ্যাস বের হয়ে মসজিদে জমা হতে থাকে। বাধাহীনভাবে গ্যাস উদগিরণ হয়ে মসজিদ গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়।

ঘটনার সাত-আট দিন আগে থেকে গ্যাসের তীব্রতা বৃদ্ধি পেলে মুসল্লিরা বিষয়টি মসজিদ কমিটিকে জানান। কিন্তু মসজিদ কমিটি কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।

ঘটনার দিন এশার নামাজের সময় বৈধ লাইনে বিদ্যুৎ চলে যায়। অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন চালু করা হলে বিদ্যুতের স্পার্ক হয়। তখন জমে থাকা গ্যাসের কারণে আগুন ধরে যায়।

এ বিভাগের আরো খবর