নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি ভবনে বিস্ফোরণে শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ হয়েছেন।
ফতুল্লার তল্লার জামাই বাজার এলাকার ওই ভবনে শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে এই বিস্ফোরণ হয়।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরিফী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ভবনের তৃতীয় তলায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দগ্ধ পাঁচজনকে রাজধানীতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভবনটির অন্য ফ্ল্যাট ও আশপাশের ভবনের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে একই পরিবারের ছয়জন ও আরেক পরিবারের পাঁচজন আছেন। এই দুই পরিবার ভবনের তৃতীয় তলার পাশাপাশি দুই ফ্ল্যাটে থাকে।
তল্লারই বাইতুস সালাত জামে মসজিদে গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর রাতে বিস্ফোরণ হয়। সে সময় এশার নামাজ পড়তে যাওয়া ৩৭ জন মুসল্লি ও এক জন পথচারী দগ্ধ হন। এদের মধ্যে ৩৪ জন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে মারা যান।
ঘটনার ছয় দিন পর ১০ সেপ্টেম্বর তদন্তের দায়িত্ব নেয় পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ- সিআইডি।
বিস্ফোরণের কারণ হিসেবে সিআইডির প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনার আগে থেকে তিতাস গ্যাস পাইপের লিকেজ থেকে গ্যাস বের হয়ে মসজিদে জমা হতে থাকে। বাধাহীনভাবে গ্যাস উদগিরণ হয়ে মসজিদ গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়।
ঘটনার সাত থেকে আট দিন আগে থেকে গ্যাসের তীব্রতা বৃদ্ধি পেলে মুসল্লিরা বিষয়টি মসজিদ কমিটিকে জানান। কিন্তু মসজিদ কমিটি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
ঘটনার দিন এশার নামাজের সময় বৈধ লাইনে বিদ্যুৎ চলে যায়। অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন চালু করা হলে বিদ্যুতের স্পার্ক হয়। তখন জমে থাকা গ্যাসের কারণে আগুন ধরে যায়।