বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গাড়ি চলতে দিন, দাবি নিয়ে রাজপথে ‘অভুক্ত’ শ্রমিকরা

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৩ এপ্রিল, ২০২১ ০১:৫৭

‘গণপরিবহন বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। লকডাউনের মধ্যেও তারা কোনো ধরনের সহায়তা পাননি। এমন পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের পরিবারের কথা বিবেচনায় নিয়ে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চালু করা প্রয়োজন।’

লকডাউনের মধ্যে আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শ্রমিকরা চাইছেন অবিলম্বে যান চলাচল শুরু হোক। এ জন্য জেলার নানা স্থানে নানাভাবে তারা দাবি জানিয়েছেন।

১৪ এপ্রিল থেকে লকডাউনের কারণে সারা দেশে যাত্রীবাহী যানবাহন বন্ধ আছে। আয় বন্ধ হয়ে গেলেও শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ায়নি সরকার বা কোনো সংগঠন। দিনে এনে দিনে খাওয়া এই শ্রমজীবীদের সঞ্চয়ও কিছু থাকে না। তাই তাদের কাজ করতে সুযোগ দেয়া না হলে তিন বেলা খাবার নিশ্চিত করাই কঠিন হয়ে যাবে বলে বিভিন্ন কর্মসূচিতে রাখা বক্তব্যে বলা হয়।

গণপরিবহন চালু করা ছাড়াও ১০ টাকা কেজিতে চাল বিক্রির আওতায় পরিবহনশ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবিও উঠে আসে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপিও দেয়া হয়।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালু করার দাবিতে চট্টগ্রামে মানববন্ধন করেছে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনটি হয়।

এতে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের সভাপতি মৃণাল চৌধুরী বলেন, ‘গণপরিবহন বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। লকডাউনের মধ্যেও তারা কোনো ধরনের সহায়তা পাননি। এমন পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের পরিবারের কথা বিবেচনায় নিয়ে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চালু করা প্রয়োজন।’

ফেডারেশন আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক অলি আহমদ বলেন, ‘আমাদের দাবি, ২৮ এপ্রিলের পর গণপরিবহন চালু করা হোক। আমরা পূর্বের ন্যায় দুই সিটে একজন করে বসিয়ে যাত্রী পরিবহন করব।’

তিনি বলেন, ‘৪০ সিটের গাড়িতে ২০ সিট পরিপূর্ণ করে এক আসন ফাঁকা রেখে যাত্রী বহন করলে ও গাড়িতে ওঠার আগে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করার ব্যবস্থা এবং প্রতি ট্রিপ শেষে জীবাণুনাশক স্প্রে দিয়ে গাড়ি পরিষ্কার করলে করোনার সংক্রমণ থেকে যাত্রীদের রক্ষা করা সম্ভব।’

ঝিনাইদহে শ্রমিকদের জরুরি সভা

একই দাবিতে জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে সভা করেছেন শ্রমিকরা।

সভা শেষে সংগঠনটির সভাপতি ওয়ালিউর রহমান বলেন, ‘লকডাউনে এখন দোকানপাট খোলা হচ্ছে। ভ্যান, ইজিবাইক, রিকশা চলছে। রাস্তায় মানুষ বের হচ্ছে। শুধু বাস বন্ধ রয়েছে।

‘বাস বন্ধ থাকার কারণে হাজার হাজার শ্রমিক পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টের মাঝে দিন কাটাচ্ছে। দিন এনে দিন খাওয়া পরিবারগুলোর অবস্থা খুবই শোচনীয়।’

পরিবহনশ্রমিকদের ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেয়ার দাবিও জানানো হয় সভায়।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি

একই দাবিতে জেলা শহরে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন পরিবহনশ্রমিকরা।

দাবির মধ্যে ছিল ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেয়া, অবিলম্বে গণপরিবহন চালু ও পণ্যবাহী শ্রমিকদের হয়রানি বন্ধ করা।

বক্তারা বলেন, দাবি মানা না হলে ফেডারেশনের সঙ্গে কথা বলে বৃহত্তর আন্দোলন নিয়ে রাস্তায় নামবেন।

তবে পুলিশি বাধার কারণে প্রেসক্লাব চত্বর থেকে মিছিল বাইরে যেতে পারেনি।

এ বিভাগের আরো খবর