তিন বছর আগে বিয়ে হয় ৩৫ বছর বয়সী বাকপ্রতিবন্ধী নারীর। দুই মাস পর বাবার বাড়িতে রেখে চলে যান স্বামী। এরপর থেকে থাকেন সেখানেই। পরে প্রতিবেশী দুই ব্যক্তি নানা কৌশলে তাকে ‘ধর্ষণ’ করেন।
আদালতে সেই ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন কথা বলতে না পারা ওই নারী।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কাউছার আলমের আদালতে ইশারায় ধর্ষণের ঘটনার বর্ণনা দেন তিনি।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাকে জানান, ফতুল্লাহ মডেল থানায় তার বড়ভাই বুধবার রাতে দুইজনকে আসামি করে মামলা করেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, দুই বছর আগে স্বামী ফেলে যাওয়ার পর বাবা-মা ও ছোট বোনের সঙ্গে থাকেন ওই নারী। পাশের বাসায় ভাড়া থাকতে দুইজন পুরুষ। তাদের সঙ্গে ওই পরিবারটির সম্পর্ক ভালোই ছিল।
একজনের একটি ওষুধের দোকান আছে। সেখানে ওই নারী তার বাবার জন্য ওষুধ আনতে যেতেন। চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি দোকানে গেলে তাকে রোগী দেখার কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে মামলায় বলা হয়েছে। তিন দিন পরে আবার সেই দোকানে একই ঘটনা ঘটে।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, অন্য প্রতিবেশী ৩১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ওই প্রতিবন্ধী নারী বাড়িতে যাওয়ার সময় তাকে ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনার পর ওই নারী বাড়ির কাউকে কিছু বলেননি। ১১ এপ্রিল শারীরিক অসুস্থতা ও পেটে ব্যথা শুরু হলে পরিবারের লোকজন তাকে ডাক্তারে কাছে নিয়ে যায়। সেখানে পরীক্ষা করানো পর তারা জানতে পারে ওই নারী ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
এরপর ওই নারী তার স্বজনদের ইশারায় ঘটনার বিস্তারিত খুলে বলেন। পরে বুধবার রাতে তার বড়ভাই মামলা করেন।
ফতুল্লা মডেল থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুজ্জামান জানান, মামলার পর থেকে আসামিরা পলাতক। পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।