নেত্রকোণার খালিয়াজুরী উপজেলায় হাওরে ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য উপহার হিসেবে ৪০০ ঘরের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
এই উপজেলায় এর আগে ৪৪৩টি ঘর বিতরণ করা হয়।
প্রথম ধাপের ঘরের আদলেই এই ঘরগুলো নির্মিত হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায়।
প্রথম ধাপের সেমি পাকা এসব ঘরের প্রতিটিতে নির্মাণ ব্যয় হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। তবে দ্বিতীয় ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৯০ হাজার টাকা।
এ ঘরগুলোর কাজ শেষ হবে ৩০ জুনের মধ্যে।
গত ২৩ জানুয়ারি প্রথম ধাপে ৬৬ হাজার গৃহহীন মানুষের হাতে ঘরের মালিকানা তুলে দেয়া হয়েছে।
সব মিলিয়ে সরকার ঘর দেবে ৯ লাখের বেশি পরিবারকে। আর প্রথম ধাপে বেশ কিছু ঘর নির্মাণে ত্রুটির পর বরাদ্দের অপ্রতুলতার বিষয়টি সামনে এসেছিল।
সে সময় খালিয়াজুরীতে ধাপের বরাদ্দ পাওয়া ঘরগুলোতে সুবিধাভোগী পরিবারগুলো বসবাস করছেন বলে জানিয়েছেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রাজিব আহমেদ।
তিনি জানান, প্রতিটি ঘর প্রস্থে সাড়ে ১৯ ফুট আর দৈর্ঘ্যে ২২ফুট। প্রতিটি ঘরে রয়েছে দুটি শয়নকক্ষ, একটি রান্না কক্ষ, একটি টয়লেট ও সামনে বারান্দা।
খালিয়াজুরী সদর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে দ্বিতীয় ধাপে ঘরের বরাদ্দ পেয়েছেন নুরজাহান বেগম।
তিনি বলেন, ‘ঘরের কাম শুরু হইছে। ইউএনও সাব কইয়া গেছে কাম ভালা কইরা দেইখ্যা বুঝ্যা নিতাম। আমরার চোখের সামনেই কাম হইতাছে। আমরা দেখতাছি। অহন লাগাত ভালাই করতাছে।’
একই গ্রামে ঘরের বরাদ্দ পেয়েছেন মগল মিয়া। তিনি বলেন, ‘কাম তো আমরার সামনেই হইতাছে। নিজেরাই দেইখ্যাশুন্যা লইতাছি।’
বরাদ্দ পেয়েছেন, আনোয়ার হুসেন, আলীনূর মিয়া ও গুলনাহার বেগমও। তারা সবাই ঘর পেয়ে খুশি।
আনোয়ার হুসেন বলেন, ‘ঘরটা পাওয়ায় উপকার হইছে। অহন একটু নিশ্চিন্তে ঘুমাইতে পারবাম।’
খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ এইচ এম আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ঘরগুলো নির্মাণে গুণগত মান বজায় রাখা হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই নির্মাণ কাজ শেষ করে সুবিধাভূগীদের মাঝে বুঝিয়ে দেয়া হবে।’
কোন গ্রামে কত ঘর
খালিয়াজুরী সদর ইউনিয়নের খালিয়াজুরী গ্রামে দুটি, মুজিবনগরে ৭৩টি, মুমিন নগরে ৩৬টি, আদাউড়ায় ২৬টি, যোগীমারায় ২৪টি, রোয়াইলে ৩৩টি, লক্ষ্মীপুরে ৬৭টি, চাকুয়া ইউনিয়নের হাতিলা ছমিরপুরে ৪৩টি, কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের শ্যামপুরে ৩০টি, যাদবপুরে ৩১টি, জাহেরপুরে ১২৪টি, নগর ইউনিয়নের গণ্ডামারায় ২৩টি, সগ্রাখাইয়ে ২৮টি, আদমপুরে ২৩টি, বল্লভপুরে চারটি, মেন্দিপুর ইউনিয়নের রসুলপুরে চারটি, নূরালীপুরে ৫৪টি ও আসাদপুরে একটি, জগন্নাথপুরে ১৯টি, বীরবিল্লায় ১১টি ও গাজীপুর ইউনিয়নের বয়রা গ্রামে ১৮৭টি ঘর নির্মাণ হচ্ছে।