লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার সির্ন্দুনা ইউনিয়নে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সহায়তা করায় এক গ্রাম পুলিশকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খতিব উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ওই সাবেক চেয়ারম্যান ও তার ভাইসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী গ্রাম পুলিশ আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি অভিযোগ করেন, বুধবার সন্ধ্যায় ওই ইউনিয়নের উত্তর সির্ন্দুনা গ্রামের তমর চৌপথি নামক মোড়ে তাকে মারধর করা হয়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাবেক চেয়ারম্যান খতিব উদ্দিন। পুরো ঘটনাটি একটি সাজানো বলে দাবি ওই সাবেক চেয়ারম্যানের।
গ্রাম পুলিশ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বুধবার দুপুরে সির্ন্দুনা ইউনিয়নের উত্তর সির্ন্দুনা এলাকায় অবৈধভাবে বোমা মেশিন দিয়ে বালু তোলার ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ইউএনও সামিউল আমিন। আমি ওই ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশের দায়িত্বে থাকায় থানা পুলিশের সঙ্গে থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহায়তা করি।
‘এ ঘটনার জের ধরে সন্ধ্যার একটু আগে তমর চৌপথি নামক মোড়ে সাবেক ইউনিয়নে চেয়ারম্যান খতিব উদ্দিন ও তার ভাই মোশারফ হোসেনসহ কয়েকজন আমাকে গতিরোধ করে আমার গায়ে থাকা পোশাক ছিড়ে ফেলে মারধর করে। খবর পেয়ে অন্য গ্রাম পুলিশসহ কয়েকজন ব্যক্তি গিয়ে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান।’
তবে সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান খতিব উদ্দিন বলেন, ‘ওই গ্রাম পুলিশকে মারধর করা হয়নি। ছোট একটা বিষয়ে নিয়ে একটু তর্ক হয়েছে মাত্র। আমার ও আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা একটি নাটক। এর আগেও আমাকে কয়েকবার নানাভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির চেষ্টা করা হয়েছিল।’
সির্ন্দুনা ইউনিয়ন বর্তমান চেয়ারম্যান নুরল আমিন বলেন, ‘গ্রাম পুলিশকে মারধর ও তার গায়ে পুলিশী পোশাক ছিড়ে ফেলার ঘটনায় ওই গ্রাম পুলিশ থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।’
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এরশাদুল আলম বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিন বলেন, ‘ওই গ্রাম পুলিশকে মারধরের ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। তদন্ত শেষে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, ‘ঘটনার সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’