করোনায় আক্রান্ত হয়ে অক্সিজেনের অভাবে ভুগতে থাকা মানুষদের সেবায় প্রথমে উদ্যোগটি নেন নোয়াখালীর ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক এসএম কামরুল হাসান।
প্রাথমিকভাবে ১০টি সিলিন্ডার দিয়ে চালু করেন ‘নোয়াখালী পুলিশ কোভিড অক্সিজেন ব্যাংক।’
এই পুলিশ কর্মকর্তার এই ভূমিকার পর এগিয়ে এসেছেন পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেনও। তিনিও বাড়িয়ে দিয়েছেন সহায়তার হাত। ১০টি সিলিন্ডারের ব্যাংক বেড়ে এখন হয়েছে ৪৫টি। এ সংখ্যা আরও বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।
এই উদ্যোগের উপকারভোগী রাসেল চৌধুরী। তিনি জানান, তার এক স্বজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। কিন্তু অক্সিজেন পাচ্ছিলেন না। পরে পুলিশ অক্সিজেন ব্যাংকের নম্বরে রাত দুইটায় ফোন দিলে তারা যেতে বলেন। সেখানে যাওয়ার পর কোনো ধরনের অর্থ ছাড়াই তাদের একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার দেয় জেলা পুলিশ। অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহার করার পর সেই স্বজন সুস্থ হয়ে ওঠেন।
রাসেল চৌধুরী বলেন, ‘আমি যেমন উপকার পেয়েছি, তেমনি অন্য মানুষও যেন উপকার পায়, সে জন্য আমি স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছি।’
অক্সিজেন ব্যাংকের তত্ত্বাবধায়ক এস এম কামরুল হাসান বলেন, ‘মোবাইল কল দিলেই অর্থ ছাড়া আমরা পৌঁছে দিচ্ছি অক্সিজেনের সিলিন্ডার। বর্তমানে আমাদের এ সেবা জেলার গণ্ডি পেরিয়ে এখন পাশের জেলা লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লার রোগীরাও পাচ্ছেন।’
জেলার পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন জানান, ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মানুষ যখন অক্সিজেনের অভাবে ভুগতে শুরু করে, তখন আমাদের পুলিশের পক্ষ থেকে অক্সিজেন ব্যাংকটি চালু করি। আমরা এ অক্সিজেন ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে যে কোনো মানুষকে এই অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করে যাচ্ছি। এই অক্সিজেন ব্যাংক আরও সমৃদ্ধ করার বিষয়ে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে।’