হেফাজত নেতা মামুনুল হকের কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার বাবা ওলিয়ার রহমানকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। বুধবার বিকেলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
ওলিয়ার রহমান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সাবেক সেনাসদস্য। তিনি গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।
সভায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আমিনুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দলের কর্মকাণ্ড চালিয়ে নেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়।
এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোনায়েম খান বলেন, ওলিয়ার রহমানকে কেন দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না, জানতে চেয়ে ১২ এপ্রিল কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। ওই নোটিশে সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। ১৯ এপ্রিল ওই সাত দিন পার হয়। এই প্রেক্ষাপটে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নির্বাহী সভায় ওলিয়ারকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোনায়েম খানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুজা মিয়া, খান আমিরুল ইসলাম, আব্বাস উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন আহমেদসহ আরও অনেকে।
পরে মো. মোনায়েম খান বলেন, ‘ওলিয়ার নিজের দল বাদ দিয়ে অন্য দলের সঙ্গে জড়িত, এমন কোনো প্রমাণ আমরা পাইনি। কিন্তু তিনি সভাপতি থাকলে এবং তার পরিবারের সদস্যরা ভিন্ন আদর্শের হলে দলের গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ জন্য তাকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া তার কারণ দর্শানোর জবাব দলের হাতে পৌঁছায়নি।’
ওলিয়ারকে গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোনায়েম ও সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদউদ্দিন স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়, তার মেজো মেয়ে জান্নাত আরা ঝর্ণার স্বামী মামুনুল হক উগ্রপন্থী ইসলামি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। আর তার স্ত্রী জামায়াতপন্থি।
এ ব্যাপারে ওলিয়ার রহমানের বক্তব্য জানার জন্য ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে তার স্ত্রী শিউলী বেগম বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য। ওলিয়ার একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা। তাকে নিয়ে সন্দেহ করার কোনো সুযোগ নেই।’