বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের ১৯৯৬-৯৭ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি-সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র আজও বুঝিয়ে না দেয়ায় কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে সে সময়ে কলেজের ছাত্র শাখায় নিয়োজিত দুই কর্মচারীকে। বর্তমানে ওই দুই কর্মচারী কলেজের ভিন্ন শাখায় কর্মরত।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান শাহীন ১৫ এপ্রিল তাদের এই নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশপ্রাপ্তরা হলেন কলেজের ফিজিওলজি বিভাগের স্টোর কিপার জাহাঙ্গীর হোসেন ও নাদিরুজ্জামান। এর আগে নানা অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল। তাদের ছাত্র শাখা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল।
কারণ দর্শানোর নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, ছাত্র শাখায় দায়িত্ব পালনকালে ১৯৯৬-৯৭ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ এমবিবিএস কোর্সের ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি-সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র জাহাঙ্গীর ও নাদিরুজ্জামানের কাছে সংরক্ষিত ছিল। ছাত্রশাখা থেকে অব্যাহতি নেয়ার সময় রেকর্ডপত্র দায়িত্বগ্রহণকারী কর্মচারীর কাছে হস্তান্তর করেননি। বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছেন ছাত্র শাখায় বর্তমানে দায়িত্বরত কর্মচারী উচ্চমান সহকারী রেজাউল করিম। তাদের এই দুজনের কার্যকলাপ সরকারি কর্মচারী চাকরি বিধি পরিপন্থী ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ
এ ছাড়া ভর্তি-সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র বুঝিয়ে না দেয়ার কারণ ব্যাখাসহ ওই রেকর্ডপত্র ৫ কর্ম দিবসের মধ্যে ছাত্র শাখায় দায়িত্বরত উচ্চমান সহকারী রেজাউল করিমের কাছে বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
এ সব বিষয়ে তার মন্তব্য জানার জন্য জাহাঙ্গীর হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি মোবাইল ফোন ধরেননি। নাদিরুজ্জামানের সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, ২০০৯ সাল পর্যন্ত নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে জাহাঙ্গীর ও নাদিররুজ্জামানকে ছাত্র শাখা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিদেশি ছাত্রদের পাস করানোসহ ভর্তি বাণিজের নানা অভিযোগ ছিল। তা ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে দুই চিকিৎসকের মেয়েদের ভর্তি করিয়ে দেয়ার জন্য মোট ৩৩ লাখ টাকা নেয়ার অভিযোগ ওঠে।