ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে এবার ময়মনসিংহ ও কুমিল্লায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল গনি। কুমিল্লার দেবিদ্বার থানায় অপর মামলাটি করেন উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা লিটন সরকার।
‘আওয়ামী লীগের কেউ প্রকৃত মুসলমান না’—ফেসবুক লাইভে এসে নুর এমন মন্তব্য করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে মামলা করেছেন বলে জানিয়েছেন বাদীরা।
এজাহারের বরাত দিয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার বলেন, গত ১৪ এপ্রিল নুর ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও সমর্থকরা প্রকৃত মুসলমান নয়। প্রকৃত কোনো মুসলমান আওয়ামী লীগ করতে পারে না।’ এমন মিথ্যা, বানোয়াট, আক্রমণাত্মক ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে দেশে আওয়ামী লীগের অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান নেতা-কর্মীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ায় সোহেল গনি মামলাটি করেন।
সোহেল গনি বলেন, ‘বাংলাদেশ মুসলিম রাষ্ট্র। এখানে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কারও আক্রমণাত্মক কথা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার শামিল। আমি মুসলমান হিসেবে বিষয়টি সহ্য করতে পারেনি। তাই প্রতিবাদ স্বরূপ মামলা করেছি।’
কুমিল্লায় করা মামলার বাদী লিটন সরকার বলেন, ‘গত ১৪ এপ্রিল ফেসবুক লাইভে এসে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, আওয়ামী লীগ যারা করে তারা কাফের, তাদের ঈমান নেই। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির জন্য তিনি এমন উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়ায় মামলা করেছি।’
এর আগে গত ১৪ এপ্রিল নিজের ফেসবুক পেজে লাইভে এসে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ‘আওয়ামী উগ্রবাদীরা আলেম ওলামাদের নিয়ে যে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে, ফেসবুকে লেখালেখি করছে এবং তাদের চরিত্র হননের চেষ্টা করছে তারা কখনও মুসলমান হতে পারে না। এদের কোনো ঈমান নেই। প্রকৃত পক্ষে এরা একটাও ঈমানদার না।
‘কোনো প্রকৃত মুসলমান আওয়ামী লীগ করতে পারে না। আওয়ামী লীগকে সমর্থন করতে পারে না। মুসলমানদের উচিত আওয়ামী লীগ ত্যাগ করা।’
নুরের এমন বক্তব্যের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একাধিক মামলা করেছেন সরকারদলীয় নেতা-কর্মীরা।