গাজীপুরের টঙ্গীতে ক্লাব ঘরের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।
আমতলীর কেরানিরটেক বস্তিতে বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, কেরানিরটেক বস্তির শহিদ সুমন আহমেদ মজুমদার স্মৃতি সংসদ ক্লাব পরিচালনা করেন ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা আক্তার হোসেন, নুর মোহাম্মদ ও আলালসহ বেশ কয়েকজন।
ক্লাবের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মঙ্গলবার রাতে তাদের সঙ্গে স্থানীয় যুবক সাদ্দাম ও বিপ্লবের কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এতে আক্তার হোসেন ও নুর মোহাম্মদ আহত হয়। পরে সাদ্দামের লোকজন ক্লাবে তালা লাগিয়ে চলে যায়।
ওইদিন রাতে উভয়পক্ষ টঙ্গী পূর্ব থানায়
আক্তারের নেতৃত্বে বুধবার সকালে আবার ক্লাবের তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকা হয়। এর জেরে বুধবার রাতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুইপক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে ১৫ জন আহত হয়।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। তাদের মধ্যে সাদ্দাম, বিপ্লব ও আবু সাঈদকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আক্তার হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, সুমন আহমেদ মজুমদার তার বন্ধু ছিলেন। তার স্মৃতির স্মরণে তারা ক্লাবটি প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে সুমনের বাবা মনির মজুমদার এবং দুই ভাই সাদ্দাম ও বিপ্লব ক্লাবের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করে।
এদিকে মনির আহমেদ বলেন, ‘আমার ছেলের নামে ক্লাবটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আমরা সেটি তত্ত্বাবধান করতে চেয়েছি।’
তার দাবি, বিষয়টি জানানোর গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতির কাছে যাওয়ার সময় কেরানিরটেক পুজা মন্ডপের সামনে আক্তার ও নুর মোহাম্মদের নেতৃত্বে ৫০ থেকে ৬০ জন তাদের ওপর হামলা চালায়।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ-দক্ষিণ) ইলতুৎ মিশ জানান, একটি ক্লাব ঘরের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। তবে ক্লাবের নিয়ন্ত্রণের আড়ালে মাদকের কোনো বিষয় রয়েছে কিনা সেটিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।