কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে শরীয়তপুর উপজেলা যুবলীগের প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মী মানববন্ধন করেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও মানববন্ধনে তারা বাধা দেয়নি।
যুবলীগ নেতা হত্যার প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে তারা মানববন্ধন করে।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নূহুন মাদবর বলেন, ‘আমাদের একজন সহযোদ্ধাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাই এই করোনার মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। যারা দাদন খলিফাকে হত্যা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
তিনি দাবি করেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তারা মানববন্ধন করেছেন। তবে দেখা গেছে তারা কোনো সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেনি। দাঁড়িয়েছে গা ঘেঁষে। অনেকের মাস্ক মুখ থেকে নামানো ছিল।
এ বিষয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন জানান, তাদের মানববন্ধন করতে নিষেধ করা হয়েছিল। তারপরেও তারা করেছে।
মামলার বিষয়ে ওসি জানান, তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শৌলপাড়া ইউনিয়নের গয়ঘর গ্রামে শৌলপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগ কমিটির সদস্য দাদন খলিফার ওপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষ ইদ্রিস খান ও তার লোকজন।
তারাবির নামাজ পড়ে বাড়ির পাশের মসজিদ থেকে বের হলে দাদনকে ফসলের মাঠে ধরে নিয়ে গিয়ে রামদা ও ট্যাঁটাসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপায়।
পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকায় নেয়ার পথে শুক্রবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে দাদন খলিফার বাবা সেকান্দার খলিফা ১০ জনের বিরুদ্ধে পালং থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। দাদনের মৃত্যুর পর একে হত্যা মামলা হিসেবে নেয়া হয়েছে।