বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঈশ্বরগঞ্জে আবার বিনা মূল্যে হাট

  •    
  • ২১ এপ্রিল, ২০২১ ২২:৪৭

পাঁচ শতাধিক পরিবার দ্বিতীয়বারের মতো বিনা মূল্যে সাপ্তাহিক বাজার করল।

করোনা, রমজান ও সাম্প্রতিক বৈরী আবহাওয়ায় বোরো ধান নষ্ট হওয়ায় ক্রয় সামর্থহীন কৃষক পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াতে মাসব্যাপী ফ্রি-হাট কর্মসূচি নিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘মুক্তির বন্ধন’ ফাউন্ডেশন।

করোনা সংক্রমণরোধে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়িতে এই কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়।

মফস্বল এলাকা হলেও করোনা সংক্রমণরোধে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হাটের প্রবেশ পথে হাত জীবাণুমুক্ত করতে স্যানিটাইজার ব্যবহার এবং ইনফ্রারেড থার্মোমিটার দিয়ে প্রত্যেকের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হয়। হাটের স্বেচ্ছাসেবী দোকানি ও ক্রেতাদের হাতে গ্লাভস ও মুখে মাস্ক ছিল।

প্রতিটি স্টল সাজানো হয় তিন ফুট দূরত্বে। স্টলগুলোতে থরে থরে সাজানো ছিল সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে সংগ্রহ করা টাটকা সবজি, লাউ, টমেটো, কাঁচা মরিচ, মাছ, পেঁয়াজ, আলুসহ ইফতারের জন্য মদিনার খেজুর।

আয়োজকরা জানান, আজকের হাটে ৫০০ পরিবারের বিনা মূল্যে কেনাকাটার জন্য ছিল প্রয়োজনীয় বাজার সদাই। গত ১৩ এপ্রিল প্রথম হাটেও বিনা মূল্যে পুরো এক সপ্তাহের প্রয়োজনীয় বাজার সদাই করেছিল ৫০০ পরিবার।

২০২০ সালের লকডাউনে ফ্রি-হাট কর্মসূচি ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিল। সম্প্রতি কালবৈশাখী ঝড়, শীলাবৃষ্টি ও গরম বাতাসে ময়মনসিংহ অঞ্চলের বোরো ধানের বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ায় আবারও এই কর্মসূচি শুরু হয়।

ফ্রি-হাট কর্মসূচির সমন্বয়ক একে এম আজহারুল ইসলাম পলাশ জানান, ‘কর্মহীন মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ লোকলজ্জার কারণে এই কর্মসূচির সুবিধা নিতে পারেন না। তারা আমাদের ফোন করে সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। আমাদের স্বেচ্ছাসেবীরা প্রয়োজনীয় বাজার তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেবেন।’

ফ্রি-হাটে আসা সলিহাটি গ্রামের ক্রেতা ৫৫ বছর বয়সী লোকমান মিয়া বলেন, ‘সারা বছর ধারদেনা করে চলি, আমাদের একমাত্র অবলম্বন হলো বোরো ধান। এ বছর করোনার মধ্যে গরম বাতাসে সব ধান নষ্ট হওয়ায় চোখে অন্ধকার দেখছি। রোজায় বাজার সদাই করি নাই। এই সংগঠনের মানুষ বাড়িতে বলে এসেছিল, এখানে বিনা মূল্যে পুরা সপ্তাহের বাজার পাওয়া যাবে। খুব উপকার হলো। একটা সপ্তাহ এই নিয়ে রোজা রাখতে পারবে।’

কর্মসূচি সংগঠক অনিক নন্দী বলেন, মুক্তির বন্ধন ফাউন্ডেশন সরকারের নিবন্ধিত সংগঠন। সদস্য ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনুদানে সংগঠনের কার্যক্রম চলছে।

মুক্তির বন্ধন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন বলেন, ‘পুরো রোজায় আমাদের এই হাট চালু থাকবে। ঈদে সহস্রাধিক পরিবারকে নতুন পোশাক দেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর