চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এস আলম গ্রুপের নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিকদের আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত আরেক শ্রমিক মারা গেছেন।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) তিনি মারা যান।
নিহত শ্রমিকের নাম শিমুল আহমেদ। তিনি সিলেট জেলার শ্রীমঙ্গল এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে।
এ নিয়ে এ ঘটনায় ছয় শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল হক ভূঁইয়া নিউজবাংলাকে জানান, কোমরের নিচে গুলি লেগেছিল শিমুলের।পরে তিনি চমেকের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
গত শনিবার সকালে বকেয়া বেতনসহ চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ করার সময় পুলিশের গুলিতে পাঁচ শ্রমিক নিহত হন। ওইদিন ১৭ জন গুলিবিদ্ধসহ আরও ৫০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের অনেককে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাঁশখালীতে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ২০১৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি এস আলম গ্রুপের এসএস পাওয়ার লিমিটেডের সঙ্গে ও চীনা প্রতিষ্ঠান সেপকো ও এইচটিজির মধ্যে চুক্তি হয়। ২০১৭ সাল থেকে গণ্ডমারা এলাকায় প্রায় ছয় শ একর জমিতে আড়াই শ কোটি ডলার ব্যয়ে এটির নির্মাণকাজ শুরু হয়।
চুক্তি হওয়ার পর থেকেই গ্রামবাসীদের একটি পক্ষ এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিরোধিতা করেন পরিবেশ দূষিত হওয়ার কথা বলে। আরেকপক্ষ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পক্ষ নেয়।
এর জেরে ২০১৬ সালের এপ্রিলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। তখন নিহত হন চার গ্রামবাসী। আহত হয় পুলিশসহ অন্তত ১৯ জন। এ ঘটনার পাঁচ বছর পর ফের হতাহতের ঘটনা ঘটলো বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকায়।