বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফের মাঠে জড়ো হয়ে বৃষ্টি চেয়ে নামাজ

  •    
  • ২১ এপ্রিল, ২০২১ ১৮:০৩

প্রথম ও দ্বিতীয় দিন নামাজে অংশ নেয়া মুসল্লিদের মুখে দেখা যায়নি মাস্ক। পাশাপাশি বসেই তারা নামাজ পড়ছিলেন। এ নিয়ে প্রথমদিন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় নিউজবাংলায়। মঙ্গলবার ও বুধবারও ওই মাঠে নামাজ পড়েন মুসল্লিরা। তখনও তাদের কারো মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। তবে আগের দুইদিনে তুলনায় বুধবার তারা কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ পড়েছেন।

লকডাউন মধ্যে তৃতীয় দিনের মতো মাঠে জড়ো হয়ে বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়েছেন কুষ্টিয়ার কুমারখালীর জগন্নাথপুর ইউনিয়নের মুসল্লিরা।

ইউনিয়নের চর ভবানীপুর গ্রামে গত সোমবার থেকে প্রতিদিনই সকালে বৃষ্টি চেয়ে নামাজ পড়ছেন ইউনিয়নের কয়েকশ মানুষ। নামাজের ইমামতি করছেন চর জগন্নাথপুর গ্রামের জামে মসজিদের ইমাম ইদ্রিস আলী।

প্রথম ও দ্বিতীয় দিন নামাজে অংশ নেয়া মুসল্লিদের মুখে দেখা যায়নি মাস্ক। পাশাপাশি বসেই তারা নামাজ পড়ছিলেন। এ নিয়ে সেদিন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় নিউজবাংলায়। তখন জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক খান বলেন, ‘মাস্ক না পড়ে একত্রিত হয়ে নামাজ আদায় করে থাকলে তা ঠিক হয়নি। আমি এই নামাজের আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলব এবং সচেতন করব।’

তারপরও মঙ্গলবার ও বুধবার ওই মাঠে জড়ো হয়ে নামাজ পড়েন মুসল্লিরা। বুধবারও তাদের কারো মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। তবে আগের দুইদিনে তুলনায় এদিন তারা কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ পড়েছেন।

ইমাম ইদ্রিস আলী বলেন, কুষ্টিয়ায় কয়েক মাস ধরে বৃষ্টি হচ্ছে না। লোকজনের দুর্ভোগ বাড়ছে। তাই ঘন ঘন এই প্রার্থনার আয়োজন করা হচ্ছে। তিনি দাবি করেছেন স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সবাই সেখানে নামাজ পড়েছেন।

এ বিষয়ে জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবুল কাশেম বলেন, ‘প্রথম দিনের পরে নামাজের আয়োজকদের ডেকে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে অনুরোধ করি। তাদেরকে বলেছি, নামাজ পড়তে কেউ নিষেধ করবে না, তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে করবেন।

‘তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আর এমন হবে না। কিন্তু এরা স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। এরপর আর আমার কী করার আছে।’

কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীবুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিষয়টি আমি অবগত নই। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে এই নামাজের আয়োজন যারা করছেন তারা ঠিক করেননি। এই ধরনের ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে‌।’

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। এ সময় মসজিদেও এক সঙ্গে ২০ জনের বেশি লোকের জমায়েত নিষেধ করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।

এ বিভাগের আরো খবর